সেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকেই জায়েদ খানের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। টাকা দিয়ে ভোট কেনা, আদালতের রায়ের মিথ্যে আদেশনামা দেখিয়ে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিলো তার বিরুদ্ধে। আগুন এখনও পুরোটা নেভেনি, এরই মধ্যে আগুনে আরো খানিকটা ঘি পড়লো, শুধু উসকে নয়, জ্বলছে রীতিমত দাউ দাউ করে!
যেনো তেনো অভিযোগ নয়, এবার জায়েদ খানের বিরুদ্ধে একেবারে সংসার ভাঙার অভিযোগ আনলেন ওমর সানী! শুধু মুখে নয়, জানিয়েছেন লিখিতভাবে।
ডিপজলের ছেলের বিয়েতে ঘটা ঘটনাটি নিয়ে এখন তুমুল শোরগোল মিডিয়া পাড়ায়, এরই মধ্যে জেনে গেছেন সবাই, সানী জায়েদকে চর মেরেছে, সানীকে পিস্তল দেখিয়ে জায়েদ খান গুলি করার হুমকী দিয়েছেন।
সিনেমার তারকাদের এমন ফিল্মি কাণ্ড দেখে অনেকেই বলছেন, ফিল্মের লোকজনের কাজই ফিল্মি। কিন্তু ঘটনাটিকে এতটা সরলভাবে দেখারও কোনো সুযোগ নেই, যেখানে পিস্তলের ভয় দেখানো নিয়ে উঠেছে অভিযোগ, তখন ব্যাপারটি তো সাধারণ থাকে না।
ওমর সানী প্রথম থেকেই বলছিলেন, মৌসুমীকে জায়েদ খান নানা সময়ে বিরক্ত করেন, জায়েদ খানকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে বোঝেননি। উল্টো মৌসুমিকে বিরক্ত করেই গেছে। তবে রবিবার তিনি যখন লিখিত অভিযোগ আনলেন, সেটা রিতিমত চমকে দিয়েছে সবাইকে। অভিযোগে, সানী তার এবং মৌসুমীর সংসার ভাঙার অভিযোগ এনেছেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর অভিযোগপত্রে ওমর সানী লেখেন, দীর্ঘ ৩২ বছর যাবত চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, সমিতির সদস্য জায়েদ খান গত চার মাস যাবত আমার স্ত্রী আরিফা পরভীন মৌসুমীকে নানা হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে আসছে। এই ব্যাপারে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তার প্রমাণ আমার এবং আমার ছেলের কাছেও আছে। তাছাড়া মুরুব্বি হিসেবে আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু উক্ত বিষয়ের কোনো সমাধান হয়নি।
অভিযোগ তো আসলেই গুরুতর, তাইনা? যে তারকা দম্পতি শোবিজ অঙ্গনে সবার আইডল, তাদের সংসার ভাঙার পেছনে কেউ কলকাঠি নাড়ছে, সেটা তো রীতিমত চমকে দেয়ার মতো! আর সবাই চমকে গেছেনও। তবে জায়েদ খান বিষয়টি স্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, এ অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট। এমনকি তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি মৌসুমীকে সম্মান করেন, বিরক্ত করার প্রশ্নই আসে না। এমনকি মৌসুমী দেশের গর্ব বলেও জানান তিনি।
অভিযোগ কোনটা সত্যি আর কোনটা সত্যি নয়, তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু সময়। এর শেষ কোথায়, অথবা আদও শেষ হবে কিনা এটাও বড় এক প্রশ্ন বটে!