fbpx

জয়পুরহাটে বরই বাগান করে সফলতার শীর্ষে নূর ইসলাম

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনার মহামারিতে বসে না থেকে বরই বাগান করে সফলতার শীর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূর ইসলাম। জয়পুরহাট কালাই উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামের বাসিন্দা নুর ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময়টাকে কাজে লাগিয়ে বরই বাগান করেন।

প্রায় তিন বিঘা উচু জমিতে করা নূর ইসলামের বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে উন্নত জাতের দেশী আগাম টক বরই, আছে উন্নত জাতের বিদেশী বল সুন্দরী, কাশ্মীরী বরই। তার বাগানের বরই এখন বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি বরই বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।

জয়পুরহাটে বরই বাগান করে সফলতার শীর্ষে নূর ইসলামইতোমধ্যে উন্নত জাতের দেশী আগাম টক বরই প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে বলে জানান নূর ইসলাম। আগামী জানুয়ারী মাস পর্যন্ত ওই বরই থাকবে এবং আরও ২০ হাজার টাকার বরই বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

ইউটিউবে বিভিন্ন বরই চাষের উদ্যোক্তা বিষয়ক ভিডিও দেখার মাধ্যমে অনুপ্রেরণা নিয়ে সরাসরি কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর বরই বাগান পরিদর্শন করে তার মনের মধ্যে ইচ্ছে জাগে বাগান করার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নূর ইসলামের ’সখের বরই বাগান’ এর নাম এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, জয়পুরহাট এলাকার কৃষকেরা ধান ও আলুর চাষ করতে বেশী অগ্রহী। কিন্তু নানা ফল চাষ করে আধিক লাভবান হওয়া যায়, এলাকার কৃষকেরা তা বুঝতে চায়না। তবে তরুণ নূর ইসলামের বরই বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করেছে। তার বরইয়ের বাগানের পাশাপাশি তিনি মিশ্র বাগান হিসেবে পেয়ারা, মাল্টা, লেবু ও পেঁপের গাছও রোপণ করেন। এ বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে তাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার পাশাপাশি বাগানের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। বাগান নিয়মিত পরিচর্যা করলে নূর ইসলাম ​আর্থিক ভাবে অনেক লাভবান হবেন বলেও মনে করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply