fbpx

টানা তিন জয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে নিউজিল্যান্ড

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বকাপ শুরু আগে ফেভারিটের তালিকায় ছিল নিউজিল্যান্ড। এবারের আসরেও অনেকেই শেষ চারে রেখেছিল কিউইদের। তবে টানা দুই হারে গ্রুপ পর্ব থেকেই প্রায় ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ‘ব্ল্যাকক্যাপসরা’। বৃহস্পতিবার কিউইদের ১৩ রানে হারিয়ে টানা তিন জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এদিন ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। জবাবে ১৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।

তিন ম্যাচের তিনটিটেই দাপুটে জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে একই পথে আছে আফগানিস্তান। তিন ম্যাচে ১ জয়ে দুই পয়েন্ট নিয়ে তিনে উগান্ডা। ২ ম্যাচের দুটিতেই হার নিয়ে চারে পাপুয়া নিউগিনি। আর একই অবস্থা নিয়ে সবার শেষে নিউজিল্যান্ড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয় বিবর্ণ। নিজেদের মাঠেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। স্রেফ ৩০ রানে তাদের ৫ উইকেট নিয়ে নেন কিউই বোলাররা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে জুটি গড়ে কিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়েন শেরফানে রাদারফোর্ড ও আকিল হোসাইন। ১৫ রানে আকিল বিদায় নিলে ভাঙে ২৮ রানের জুটিটি। আটে নেমে আন্দ্রে রাসেল ১৪ রান করে বিদায় নেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রোমারিও ‍শেফার্ডও। ১৩ রান করে তিনি ফার্গুসনের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন।

ব্যাট হাতে বাকিদের ব্যর্থতার দিনে শেষ পর্যন্ত একাই লড়ে যান রাদারফোর্ড। ৩৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে তিন চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরাতে থাকেন। ১১২ রানে ৯ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়দের সংগ্রহ দেড়শর কাছে নিয়ে যান তিনি। ৩৯ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজান ২ চার ও ৬ ছক্কায়।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে স্রেফ ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বোল্ট। ২১ রান খরচায় দুটি উইকেট পান টিম সাউথি। সমান উইকেট নেন ফার্গুসনও। একটি করে উইকেট পান জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনার।

রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তেই দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং ফিন অ্যালেনকে হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। আকিল হোসেন ও আলজারি জোসেফ নেন উইকেট দু’টি। এরপর কেন উইলিয়ামসন ও রাচীন রবীন্দ্র হাল ধরার চেষ্টা করলেও দলীয় ৫৪ রানের মাঝে ফেরান তারাও।

দু’জনের উইকেটই তুলে নেন গুডাকেশ মোতি। এরপর ড্যারেল মিচেলকেও ফিরিয়ে দেন এই স্পিনার। ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে বসেছিল কিউইরা। কিন্তু সেখান থেকে হাল ধরেন জেমস নিশাম ও গ্লেন ফিলিপ্স।

এই জুটির দৃঢ়তায় নিউজিল্যান্ড দেখেশুনে এগালেও জোসেফের জোড়া আঘাতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় নিউজিল্যান্ড। ফিলিপ্স বিদায় নেন ৪০ রানে। শেষের দিকে মিচেল স্যান্টনার চেষ্টা করে শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন। ২০ ওভার শেষে কিউইরা ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয়। জোসেফ ১৯ রানে ৪টি ও মোতি ২৫ রানে নেন ৩টি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন জোসেপ। ৩টি শিকার ধরেন গুদাকেশ মোতি। এ হারে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সুপার এইটে খেলা। দুই ম্যাচ শেষে কোনো পয়েন্ট নেই তাদের। অন্যদিকে ২ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটের খুব কাছে আফগানিস্তান। শুক্রবার পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয় পেলেই সুপার এইট নিশ্চিত হয়ে যাবে আফগানিস্তানের। আর সেটি হলে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে কিউইদের।

Advertisement
Share.

Leave A Reply