সরকারের হাতে পর্যাপ্ত টিকা না আসায় আপাতত করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সারাদেশে টিকা কার্যক্রমের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টিকা হাতে এলেই আবার গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘চায়নার সাথে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি ছয় কোটি ভ্যাকসিনের জন্য। ইতোমধ্যে এই মাসেই ৫৪ লাখ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই মাসের শেষের দিকে আরও ৫০ লাখ টিকা আসবে। আমাদের স্বাভাবিক ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু থাকবে।’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশজুড়ে গত ৭ অগাস্ট থেকে ছয় দিনের গণটিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেওয়ার সক্ষমতা যে আমাদের আছে সেটা প্রমাণ হয়েছে। একদিনে ৩৪ লাখ ভ্যাকসিন আমরা দিয়েছি অর্থাৎ ভ্যাকসিন দেওয়ার সক্ষমতা আছে। একটা ট্রায়ালও হয়ে গেছে। এখন ভ্যকসিন প্রাপ্যতা সাপেক্ষে আমাদের আগামী দিনের কার্যক্রম চলবে।’
‘আমাদের হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন থাকে, তাহলে শহরে এবং গ্রামে দুই জায়গায় এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। যদি কম থাকে তাহলে সেই ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম ডিজাইন করা হবে। ভ্যাকসিন পাওয়া সাপেক্ষ আমরা গ্রাম পর্যায়ে যাব, এখন আপাতত যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে’ বলেও সাংবাদিকদের জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে চুক্তি হবে। রাশিয়ার সাথে আমাদের টিকা চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। এখন টিকা পেতে অপেক্ষায় আছি। ভারতের কাছে পাওনা আছে দুই কোটি ৩০ লাখ। কোনো কার্যক্রম আটকে নাই। টিকা পাওয়া সাপেক্ষে গণটিকা কার্যক্রম আবারও শুরু হবে।’
টিকাদানের ক্ষেত্রে নারীদের বেশি প্রাধান্য দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পঞ্চাশোর্ধ যারা আছেন, তাদেরকে সবার আগে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কারণ তারাই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করছে। যতো মৃত্যু ঘটছে তার নব্বই শতাংশই বয়স্ক মানুষ। নারীদেরও অনেক বেশি মৃত্যু হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই মধ্যবয়সী।’
দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি কমতে শুরু করেছে জানিয়ে জাহেদ মালেক বলেন, ‘গতমাসে সংক্রমণের হার ৩২ শতাংশে উঠে গেছিল। এখন সেটি কমে গিয়ে ২০ শতাংশের মধ্যে চলে এসেছে। তবে সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছু কমলেও আমরা সন্তুষ্ট নই, আমরা ৫ শতাংশের নিচে সংক্রমণ চাই।’