মঙ্গলবার (১ আগস্ট) থেকে ডলারের দর বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার বাফেদা ও এবিবির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার থেকে ডলারের দাম বাড়ার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। রপ্তানি বিল নগদায়নে, প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা, রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে ১০৯ টাকা ও আন্তব্যাংক লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাওয়া যাবে বলে এই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে।
এর আগে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারে ছিলো ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। রপ্তানিতে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা (+ ০.৫০) আর আন্তব্যাংক লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা। অর্থাৎ রপ্তানি আয়ে ডলারে দর বেড়েছে এক টাকা এবং প্রবাসী আয় ও আন্তব্যাংক লেনদেনে বেড়েছে ৫০ পয়সা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ মাস থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় আর এই সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তা বাজারে হিতেবিপরিত হয়। উল্টো সংকট আরও বেড়ে যায়। তাই গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। পরে এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। সেই থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে। মূলত, বাংলাদেশ ব্যাংকের হয়ে শুধুমাত্র সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে এ দুই সংগঠন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে যে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে, তার অন্যতম শর্ত হলো সব ক্ষেত্রে ডলারের এক দাম নির্ধারণ করতে হবে। আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য মতে, এর অংশ হিসেবেই ডলারের দাম বাড়ানো হচ্ছে।