ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না। সরকারের পক্ষ থেকে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কাশিমপুর কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর কারণে এই আইনটি নিয়ে নানা বিতর্কের দেখা দিয়েছে। এছাড়া আইনটির কিছু ধারাকে বিকর্তিত উল্লেখ করে দেশব্যাপী শুরু হয় বিক্ষোভ। তাই এই আইনটির অপপ্রয়োগ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
এই বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করা হবে জানান মন্ত্রী। এটি সারা বিশ্বের সাথে তুলনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিসইউজ যেগুলো ধরা পড়ছে বা অ্যাবিউজ যেগুলো হচ্ছে সেগুলোর জন্য একটা চেক অ্যান্ড ব্যালান্স সিস্টেম কীভাবে ডেভেলপ করা যায়, এ আইনের মধ্যেই কীভাবে সেটা থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।’
আওয়ামী লীগ সরকার নানা বিতর্কের মধ্যেই ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে। আইনটি যখন খসড়া করা হয়, তখনই গণমাধ্যম এবং মানবাধিকারকর্মীরা আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু এই আইনে ৯ মাস ধরে আটক থাকা লেখক মুশতাকের মৃত্যুর পর অভিযোগ উঠেছে যে ছয়বার আবেদন করেও জামিন মেলেনি তার।
তবে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, এই আইনের কারণে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও ভয় তৈরি হয়েছে।
