fbpx

ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন নিতে অনাগ্রহ পোশাক শ্রমিকদের : বলছে সমীক্ষা  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাসের শুরুতে অধিকাংশ পোশাক কারখানা থেকে শ্রমিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা দেয়া হলেও এখন এর প্রবণতা কমে এসেছে বলে এক জরিপে উঠে এসেছে।

জরিপে দেখা গেছে, মোবাইল আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে ক্যাশ আউটে অধিক চার্জ, এ সংক্রান্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে স্পষ্ট ধারণার অভাব এবং মোবাইল না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে তৈরি পোশাক খাতের (আরএমজি) শ্রমিকরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মাইক্রো ফাইন্যান্স অপরচুনিটিজ (এমএফও) পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এরা গত এপ্রিল থেকে ১ হাজার ৩৭৭ শ্রমিকের ওপর ধারাবাহিকভাবে এ জরিপ চালিয়ে আসছিল।

চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ওপর এ জরিপ করা হয়। এদের মধ্যে আবার তিন-চতুর্থাংশ নারী।

মূলত ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন গ্রহণে শ্রমিকের অনীহা প্রকাশের জন্যই তারা নগদ অর্থে বেতন নিতে চাচ্ছেন।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন তোলার হার সবচেয়ে বেশি ছিল। কিন্ত তার পরবর্তী মাসগুলোতে এই হার আস্তে আস্তে কমে গেছে।

সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, এ বছরের এপ্রিল মাসে ব্র্যান্ড-কেন্দ্রিক ৩৭ শতাংশ কারখানা ডিজিটাল পদ্ধতিতে শ্রমিকদের বেতন প্রদান করেছে। আর ব্র্যান্ড-কেন্দ্রিক নয় এমন ২০ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদান করেছে।

এদিকে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ পাওয়ার পর মে মাসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শ্রমিকদের বেতন প্রদানের প্রবণতা বেড়ে ব্র্যান্ড-কেন্দ্রিক কারখানার জন্য হয় ৮৫ শতাংশ এবং নন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের জন্য হয় ৫৭ শতাংশ। পরবর্তীতে জুন মাসে ব্র্যান্ড-কেন্দ্রিক কারখানাগুলোর ডিজিটাইজড পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের হার ছিল ৮৫ শতাংশ, জুলাই মাসে ৮৭ শতাংশ, আগস্ট মাসে ৭৬ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৭৩ শতাংশ।

আর নন ব্র্যান্ড কারখানার ক্ষেত্রে এই হার জুন মাসে ছিল ৬০ শতাংশ, জুলাই মাসে ছিল ৫৪ শতাংশ, আগস্ট মাসে ছিল ৪৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ৪০ শতাংশ।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার জন্য সরকারের ঘোষণা করা প্রণোদনা প্যাকেজ কারখানাগুলোকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করেছে ।

তবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের অনেক সুবিধা থাকলেও কারখানাগুলো এখন আবার নগদ অর্থে বেতন প্রদানের দিকে ফিরে যাচ্ছে।

কারণ কারখানাগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের সুবিধাগুলো দ্রুত বুঝতে পারছে না। মূলত অনেক কারখানা তাদের সম্পূর্ণ বেতন প্রদানের পদ্ধতি নগদ অর্থ থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিবর্তন না করার জন্য তারা এ পদ্ধতির সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না।

এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন গ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিকদের অনীহার কারণেও তাদের সেই সনাতন পদ্ধতিতে ফিরে যেতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ক্যাশ আউটের চার্জ, লেনদেনের ক্ষেত্রে স্পষ্ট ধারণার অভাব, মোবাইল না থাকা, স্বামীর নামে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট বা ব্যাংক একাউন্ট থাকায় উপার্জিত অর্থ ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ কমে আসা ইত্যাদি বিষয়কে শ্রমিকরা অনিহার কারণ হিসেবে দায়ী করছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply