ইউনিসেফের তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৪০ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। বর্ষা মৌসুমে পুকুর ও নদী ভরাট হওয়ায় বেড়ে যায় ডুবে মৃত্যুর হার। বর্তমান বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শিশুদের ডুবে মৃত্যু থেকে রোধে অভিভাবকদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
শিশুমৃত্যু রোধে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সচেতনতামূলক প্রচারণায় কাজ করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এক ভিডিও বার্তায় অভিভাবকদের উদ্দেশে চারটি পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ভিডিও বার্তায় সাকিব বলেন, ‘ছোট শিশুদের নজরে রাখা- বিশেষ করে যখন তারা পানির আশপাশে থাকে, উন্মুক্ত জলাশয়ের চারপাশে বেড়া দেওয়া এবং পানির যেকোনো বড় পাত্র ঢেকে রাখা। পাশাপাশি সন্তানের বয়স ৬ বছর হলেই তাদের সাঁতার শেখাতে হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বারদান জাং রানা বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি যে কাউকে গ্রাস করতে পারে; আমাদের প্রত্যেককে পানি সংক্রান্ত দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষার দায়িত্ব নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা হাত মেলাই, একে অপরকে ক্ষমতায়ন করি এবং এমন একটি বিশ্ব গড়ার চেষ্টা করি যেখানে প্রতিটি জীবন এ প্রতিরোধযোগ্য দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষিত থাকবে।