fbpx

তরুণরাই দেশের বিরাট শক্তি ও প্রকৃত সম্পদ: কৃষিমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

তরুণেরাই আমাদের দেশের বিরাট শক্তি ও প্রকৃত সম্পদ। এই তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে বর্তমান সরকারও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায়, প্রায়োগিক ও সময়োপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে, বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক।

রবিবার সকালে টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো: আবদুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন ও ডিগ্রি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সিআরপি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক ভ্যালেরি অ্যান টেইলর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো: ফরহাদ হোসেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিগত ১৪ বছরে শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনে বিশাল বিনিয়োগ করেছে ও শিক্ষাবান্ধব নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধকরণে ব্যাপক হারে ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি শিক্ষাখাতে এই বিশাল বিনিয়োগ দেশকে কাঙ্ক্ষিত সময়ের আগেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে।

তরুণরাই দেশের বিরাট শক্তি ও প্রকৃত সম্পদ: কৃষিমন্ত্রী

ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে দক্ষ মানবসম্পদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আমাদের মতো দেশে-যাদের প্রাকৃতিক সম্পদ খুব সীমিত, সেখানে দক্ষ মানবসম্পদ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই বাস্তবতায়, প্রায়োগিক ও সময়োপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের গ্রাজুয়েটদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষকদেরও এ বিষয়ে আরো এগিয়ে আসতে হবে।

ড. রাজ্জাক বলেন, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ, অবরোধ-পাল্টা অবরোধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী ‘খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা’ বেড়েছে। বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে এবং বহুমুখী দুর্যোগের মধ্যেও বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

এর আগে চ্যান্সেলরের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন এবং সমাবর্তনের উদ্বোধন করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply