গড়ম আরও বাড়বে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা পূর্বের সকল রেকর্ডকে ছড়িয়ে যাবে। জাতিসংঘের আবওহাওয়া সংস্থা ডাব্লিউএমও আসন্ন এল নিনোকে ঘিরে এমন আশংঙ্কা প্রকাশ করেছে।
ডাব্লিউএমও গতকাল বুধবার বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
এল নিনো হলো গ্রীষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলের সমুদ্রগটি পর্যায়বৃত পরিবর্তন। এল নিনো বন্যা, খরা, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সর্বশেষ এল নিনো সৃষ্টি হয়েছিল ২০১৮-২০১৯ সালে। এলনিনো সাধারণত প্রতি তিন থেকে আট বছর পর পর দেখা দেয়। এটির স্থায়িত্ব সাধারণত ৯ থেকে ১২ মাস হয়ে থাকে।
এল নিনোর প্রভাব কেমন হবে তা আংশিকভাবে নির্ভর করে এর আগমনকাল অর্থাৎ বছরের কোন সময় এটির আগমন ঘটেছে তার উপর। এর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ে, কোন কোন অংশে দেখা দেয় খরা, আবার অন্য অংশে ঘটে ভারি বৃষ্টিপাত।
ডাব্লিউিএমওর হিসাব অনুযায়ি, আগামী জুলাইয়ের শেষ নাগাদ এল নিনো সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে ৬০ শতাংশ এবং আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ওই আবহাওয়া সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৮০ শতাংশ। ২০১৬ সাল ছিল আগের বছরের তুলনায় সবচেয়ে উষ্ণ বছর। সেবার সবচেয়ে শক্তিশালী এল নিনোর প্রভাবের সাথে ছিল মানবসৃষ্ট কারণে নির্গত গ্রিনহাউজ জনিত বাড়তি তাপমাত্রা।
এল নিনোর প্রভাবে কি ঘটে তা এক বাক্যে তুলে ধরতে গিয়ে ডাব্লিউএমওর অঞ্চলিক আবহাওয়া পূর্বাভাস বিভাগের প্রধান উইলফ্রান মুফুমা ওকিয়া গতকাল জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ’এতে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া ও জলবায়ুর ধরনের বড় পরির্তন আসবে। আমরা ধারণা করছি সামনের দুই বছর বৈশ্বিক তাপমাত্রা মারাত্মক আকারে বাড়বে।’
ডাব্লিউএমওর প্রধান পেরেত্তি তালাস বলেন, ‘বিশ্বের এবার এল নিনোর জন্য প্রস্তুতি নেয়া উচিত। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আসন্ন এল নিনোর প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা আগের তুলনায় আরো বাড়বে এবং সেই তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড গড়বে। গত আট বছরে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখেছে বিশ্ববাসী। যেহেতু এল নিনো সৃষ্টির এক বছরের মাথায় এর প্রভাব দৃশ্যমান হয় সেই হিসেবে ২০২৪ সালে পৃথিবীবাসি ওই রেকর্ড তাপমাত্রায় ভুগতে চলেছে।’