বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত গণভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশন শেষে গণভবনে ফেরার পর ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে পাঠিয়ে তাকে গণভবনের ভেতরে ডেকে নেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন সোহেল তাজ।
১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোকদিবস ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে গণভবনের সামনে অবস্থান নেন সোহেল তাজ।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কয়েকজনকে নিয়ে রাত ১১টার পরেও অবস্থান করেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এদিনের মতো কর্মসূচি শেষ করেন।
গতকাল বেলা তিনটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে পদযাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন সোহেল তাজ। অবস্থান কর্মসূচিতে সোহেল তাজের বড় বোন শারমিন আহমেদসহ কয়েকজন অংশ নেন।
তিন দাবী নিয়ে গণভবনের সামনে সোহেল তাজের অবস্থান কর্মসূচি
দাবিগুলো তুলে ধরে সোহেল তাজ বলেন, যেহেতু ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। সেদিন বাংলাদেশ স্বাধীন–সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এই দিনকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল পদযাত্রা করে একই দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন সোহেল তাজ।
