অবশেষে ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিল চীন। করোনার কারণে জিরো-কোভিড নীতি অনুযায়ী দেশটিতে তিন বছর ধরে সীমান্ত বন্ধ ছিল। এই নীতির কারণে দেশটির সঙ্গে গোটা বিশ্বের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন ছিল।
রবিবার হংকংয়ের সঙ্গে চীনের সীমান্ত খুলে যাওয়ায় স্থল ও সাগরপথে ভ্রমণকারীদের ঢল দেখা যায়। অনেকেই হংকং থেকে চীনে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন পর পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে উৎসুক দেশটিতে বসবাসকারী অভিবাসীরা।
হংকংয়ের অধিবাসী তেরেসা চো বলেন, “আমি খুব, খুবই খুশি, খুবই অধীর। বহু বছর বাবা-মাকে দেখিনি। বাবা-মা ভাল নেই। তাদের কোলন ক্যান্সার হওয়ার খবর শোনার পরও দেখতে যেতে পারিনি। এখন তাদেরকে দেখতে যেতে পেরে আমি সত্যিই খুশি।”
সীমান্ত খুলে দেওয়ায় খুশি চীনের নাগরিকরা। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোর পর্যটন স্থানগুলোতে দীর্ঘসময় ধরেই যেতে পারেনি চীনারা। সীমান্ত খোলার পর এখন তাদের সেসব স্থানে ভ্রমণের দ্বার খুলে গেছে।
এরই মধ্যে চীন মূল ভূখন্ডের অধিবাসীদের জন্য পাসপোর্ট, ভ্রমণ ভিসা এবং সাধারন ভিসা ইস্যু করতে শুরু করেছে। বিদেশিদের জন্য রেসিডেন্স পারমিটও দেওয়া হচ্ছে। আর প্রতিদিন হংকং থেকে চীনে মানুষের যাতায়াতের জন্য কোটা ব্যবস্থা আছে বেইজিংয়ের।
শুধু তাই নয়, কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধেও এসেছে পরিবর্তন। আগে বাইরে থেকে চীনে ঢুকলেই ৮ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়ম ছিল। সেই নিয়ম এখন তুলে নেওয়া হয়েছে। চীনের স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে সাংহাইয়ের পুডং বিমানবন্দরে কর্মীদেরকে কোয়ারেন্টিন বিধির নীল সাইনবোর্ড খুলে নিতে দেখা গেছে।
গত বছরের শেষদিকে গণবিক্ষোভের মুখে চীন সরকার তাদের ‘জিরো-কোভিড’ নীতি থেকে সরে গিয়ে অধিকাংশ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বিশ্বে কোভিড বেড়ে যাওয়ায় চীন সরকার তাদের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এখন প্রায় তিন বছর পর সেই সীমান্ত খুলে দিল বেইজিং।