fbpx

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও পাবে সম্পত্তির অধিকার: ভূমিমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ সম্পর্কিত খসড়া প্রস্তাবনা প্রস্তুত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে, জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজামান চৌধুরী।

বুধবার ‘২০ টি শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমি ভবনে স্থাপিত মডেল ‘শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্রে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য সম্পত্তির উত্তরাধিকার বিষয়ে পৃথক আইন বলবৎ থাকলেও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পুরুষ অথবা নারী হিসেবে পরিচিতি নির্ধারিত না থাকায় সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো প্রস্তাবনায় তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকগণের পুরুষবাচকতা অথবা নারীবাচকতা নির্ধারণের পর চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে তাদের সম্পদের উত্তরাধিকার অর্জন করার কথা বলা হয়েছে। লিঙ্গের পুরুষবাচকতা অথবা নারীবাচকতা নির্ধারণ করা সম্ভব না হলে তাদের নারী ও পুরুষ উত্তরাধিকার পরিমাণ যোগ করে এর অর্ধেক সম্পত্তির উত্তরাধিকার করা যেতে পারে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে। এসব প্রস্তাবনা পরবর্তীতে সকলের মতামত গ্রহণ করে সংশোধন করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসময় জানান।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার তার বক্তব্যে শিশুদের জন্য নতুন বিষয়ে জানার জন্য আগ্রহোদ্দীপক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য কেয়ার-গিভারদেরকে অনুরোধ করেন।

ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভূমি ভবনে স্থাপিত শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিশুদের পাশাপাশি সকল পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে কর্মরত কর্মজীবী নারীদের শিশুরা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

ভূমি ভবনে স্থাপিত অত্যাধুনিক মডেল শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্রটিতে শিশু নিরাপত্তার সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘ডে-কেয়ার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার’-এর মাধ্যমে অভিজ্ঞ কেয়ারগিভারদের মাধ্যমে কেয়ার সেন্টাররটি পরিচালনা করা হবে। কেন্দ্রটিতে আরও থাকছে অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা ও সিসিটিভি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ভূমি ভবনে স্থাপিত প্রায় ৪ হাজার বর্গফুট আয়তনের এ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে ৬০টি শিশুকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত রাখার সুবিধা রয়েছে। কেন্দ্রে শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, সকাল-বিকেলের নাস্তা ও দুপুরের খাবার দেওয়া হবে। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রটিতে রয়েছে শিশুদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সুবিধা। কর্মজীবী নারীরা যেন পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রের দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে কর্মক্ষেত্রে নিশ্চিন্তে এবং মনোযোগ সহকারে কাজ করতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।

‘২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পটি ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে’র আওতাভুক্ত ‘মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের’ আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। কর্মজীবী নারীদের ৪ মাস থেকে ৬ ছয় বছর বয়সী শিশুদের দিবাকালীন নিরাপদ সেবা প্রদান করা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রকল্পের অন্যান্য লক্ষ্যসমূহের মধ্য অন্যতম হচ্ছে শিশুর দিবাকালীন সাধারণ যত্ন নিশ্চিত করা, শিশুর খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান এবং শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply