fbpx

দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

একই সঙ্গে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, ‘৩ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত থাকলে কোনো লঞ্চ চলবে না। তাই দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকায় এখন ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত রয়েছে। এই সংকেতে ৬৫ ফুটের কম দৈর্ঘের কোনো লঞ্চ চলাচল করবে না।’

ঢাকা সদরঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিএ এর পরিবহন পরিদর্শক পিএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সকালে সদরঘাট থেকে তিনটি লঞ্চ চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, আর বরিশালের মুলাদীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় দুটি লঞ্চ। তবে ভোলা, পটুয়াখালী বা ঝালকাঠির পথে কোনো লঞ্চ ছাড়েনি।’

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বড় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকলীয় এলাকার ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা/ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেই সাথে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

Advertisement
Share.

Leave A Reply