২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু পণ্যের শুল্ক বা করহার বাড়ানো হয়েছে। ফলে বেড়ে যেতে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি বিলাসবহুল কিছু পণ্যের দাম। আগামী ৩০ জুন প্রস্তাবিত এই বাজেটের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
দেখে নেয়া যাক, শুল্কহার বাড়ানোর ফলে কোন কোন পণ্যের দাম বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
১. ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোন আমদানিতে ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে শুল্ক। এতে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইলে ফোনের দাম বাড়বে।
২. মদ বা বিয়ার আমদানিতে বাজেটের ২০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে। ফলে দাম বাড়বে মদ ও বিয়ারের।
৩. সম্পূরক শুল্ক না বাড়ালেও প্রিমিয়াম কোয়ালিটির সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানো হয়েছে। ফলে বেনসন, মার্লবোরোসহ বিদেশি সিগারেটের দাম বাড়তে পারে।
৪. পরিবেশক ও ডিলারদের নিট কমিশনের ওপর আরোপ করা হয়েছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। ফলে দাম বাড়বে টাইলস ও স্যানিটারি পণ্যের।
৫. শিশুদের খেলার জন্য পার্ক স্থাপনের রাইড সামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ২০ শতাংশ। ফলে শিশুদের জন্য বিনোদনকেন্দ্র স্থাপনের খরচ বাড়বে।
৬. দেশি চাষিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে বিদেশ থেকে গাজর, ক্যাপসিকাম, কাঁচামরিচ, টমেটো ও কমলা আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্য আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকছে না।
৭. বিদেশি রড ও সমজাতীয় পণ্য আমদানিতে বাড়ানো হয়েছে শুল্কহার। এতে দাম বাড়তে পারে বিদেশি রডের।
৮. শিল্প লবণের ওপর কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। শিল্প লবণের নামে শুল্ক ফাঁকি দিতে ভোজ্য লবণ হিসেবে আমদানি ঠেকাতে দুই প্রকার লবণ আলাদা আলাদা কর নির্ধারণ করা হয়েছে।
৯. মাংস আমদানিতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। এতে বিদেশি মাংসের দাম বাড়বে। দেশীয় খামারিদের সুরক্ষা দিতেই এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
১০. বিদেশি মাশরুম আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
১১. বিদেশি সাবান আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দাম বাড়তে পারে বিদেশি সাবানের।
১২. চুইং গাম, বিস্কুট ও সমজাতীয় সুগার কনফেকশনারির ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে চুইং গাম, বিস্কুট জাতীয় খাবারের দাম বাড়বে।
এছাড়াও বাড়বে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চের আসনের ভাড়া, বিদেশ থেকে আমদানি করা কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের দাম।