করোনা টিকার দুই ডোজ না নিলে মালয়েশিয়া, ইরান, স্পেনসহ ১১টি দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢোকা যাবে না বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বেবিচক থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় থাকা এই ১১ দেশ হলো- আর্জেন্টিনা, বতসোয়ানা, কিউবা, সাইপ্রাস, ইসওয়াতিনি (সোয়াজিল্যান্ড), জর্জিয়া, ইরান, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া ও স্পেন। এসব দেশ থেকে আসা কোনো যাত্রী কোভিড-১৯ টিকার সম্পূর্ণ ডোজ ছাড়া বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ৷
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা এই ১১ দেশ থেকে বাংলাদেশে আসবেন, তাদের অবশ্যই যাত্রার ১৪ দিন আগে করোনা টিকার ভ্যাকসিনের দুই ডোজ সম্পন্ন করতে হবে। আর দেশে আসার পর তাদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে৷ এসব দেশে থাকা প্রবাসী কর্মীরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। এবং এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশি নাবিক ও মেরিন ইঞ্জিনিয়াররা দেশে ফিরতে পারবেন, তবে তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখাতে হবে৷ তবে কারও মধ্যে যদি করোনার লক্ষণ কিংবা উপসর্গ দেখা দেয়, তাকে নিজ খরচে হোটেল বুকিং করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এসব দেশ থেকে ভ্যাকসিন ছাড়া কোনো নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না।
একইসঙ্গে ১৬টি দেশের যাত্রীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে পৃথক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই দেশগুলো হলো- ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ফ্রান্স, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, কাজাকস্তান, কুয়েত, কিরগিজিস্তান, নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস, পানামা, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া এবং যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশ ভ্রমণের পূর্বে যাত্রীদের যাত্রার ১৪ দিন আগে কোভিড-১৯ টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলে তাদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে৷ দেশে আসার পর কারো কোনো লক্ষণ দেখা গেলে তাকে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে৷ টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া ছাড়া যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত হোটেল বা প্রতিষ্ঠানে নিজ খরচে ১৪ দিনের কঠোর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে৷ বিমানবন্দরেই তাদের হোটেল বুকিং বা প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে হবে৷
এসব দেশের যাত্রীরা বিধি নিষেধের মধ্যে থাকা দেশগুলোতে ট্রানজিট নিতে পারবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)।
