দেশে একদিনে ৭৫ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে আগামীকাল (১৯ জুলাই) দেশব্যাপী কোডিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের হার কম থাকায় বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ কাভারেজ বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
১৮ জুলাই (সোমবার) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও তুলনামূলক কম বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ কাভারেজ বিবেচনা করে সরকার ১৯ জুলাই দেশব্যাপী একটি ‘কোডিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় এই ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার (তৃতীয়) ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের ৭৬.০৫ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে। এছাড়া ৭০.৩ শতাংশ দ্বিতীয় এবং ১৭.৯ শতাংশ মানুষকে বুস্টার (৩য়) ডোজ দেওয়া হয়েছে, যা সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক অপ্রতুলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার দেশের আপামর জনসাধারণকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানে বদ্ধপরিকর। বর্তমানে দেশে ৫ ধরনের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন অ্যান্ড জনসন) প্রায় ২.৭৮ কোটি ডোজ টিকা মজুত রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে প্রায় ৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অচিরেই দেশের ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদেরও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হবে। সরকার এ বিষয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রাথমিক পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যান্য বয়সসীমার জনগোষ্ঠীর মতো ৫-১১ বছর শিশুদেরও সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল/অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
