fbpx

দেশের ১৪ শতাংশ স্কুলশিক্ষার্থীর রয়েছে দৃষ্টিত্রুটি: গবেষণা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘বাংলাদেশের কিছু এলাকায় স্কুলের শিশুদের দৃষ্টিত্রুটি পরিস্থিতি’ শিরোনামে দেশের চার জেলার বিভিন্ন স্কুলের ৩২ হাজার ৭৪৮টি শিশুর চোখ পরীক্ষা করে একটি গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জন স্কুলশিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ১৪ জনের দৃষ্টিত্রুটি রয়েছে।

ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের শিশু চক্ষু চিকিৎসকেরা ২০১৯ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার জেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে নার্সারি থেকে দশম শ্রেণির শিশুদের চোখ পরীক্ষা করে এই গবেষণা করেন। তারা দৃষ্টিত্রুটি রয়েছে এমন শিশুদের চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

যে চার জেলার শিশুদের চোখ পরীক্ষা করে এই গবেষণা করা হয় সেগুলো হলো ঢাকা, বরিশাল, জামালপুর ও নওগাঁ। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার শিশুদের দৃষ্টিত্রুটির হার সর্বোচ্চ, প্রায় ৪০ শতাংশ।

চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে গবেষণা প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য ‘দ্য এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথালমোলজি’তে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে সম্মেলনটি।

গবেষক দলের প্রধান ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের শিশু চক্ষুরোগ ও স্কুইন্ট (ট্যারা) বিভাগের প্রধান ডা. মো. মোস্তফা হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্কুলের শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিত্রুটি শনাক্ত ও তা সমাধান করাই ছিল গবেষণাটির মূল উদ্দেশ্য।

ডা. মো. মোস্তফা হোসেন আরও জানান, ১০ বছর পর্যন্ত শিশুদের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়। এ অবস্থায় কম বয়সেই শিশুদের চোখের চিকিৎসা করালে পরিপূর্ণ দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি, চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’ যুক্ত খাবার শিশুদের জন্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি এ বিষয়ে আরও জানান, দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোনের মতো ডিভাইসের দিকে শিশুরা তাকিয়ে থাকলে তাদের চোখে চাপ পড়ে, আর মাথাব্যাথা হয়। এর ফলে শিশুদের দৃষ্টিত্রুটি দেখা দিতে পারে।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, দৃষ্টিত্রুটির প্রবণতা বেশি রাজধানী ঢাকার শিশুদের মধ্যেই। ঢাকার ১৯টি স্কুলের মোট ৬ হাজার ৪০১ জন শিশু শিক্ষার্থীর চোখ পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে মোট ২ হাজার ৫৫১ জনকে চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা, এ হার প্রায় ৪০ শতাংশ। আর এ হার বরিশালে ১২ শতাংশ এবং নওগাঁ ও জামালপুরে প্রায় ৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্বল্প ওজন ও জিনগত কারণ নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে গবেষণায় আরও দেখা গেছে, গ্রামের শিশুদের তুলনায় শহরের শিশুদের চশমা ব্যবহারের হার বেশি। এর পেছনের কারণ নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply