বাংলাদেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এই অর্থের পরিমাণ অনেক বেশি। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। বিজয়ের মাসে এটি আমাদের সবচেয়ে বড় বিজয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে বিজয় দিবসের প্রাক্কালে এই অর্জনকে জাতির জন্য উপহার বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, ‘দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আমাদের জন্য বড় সুখবর। এটি দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে এটি অবশ্যই জাতির জন্য একটি উপহার। করোনা সংকটের মধ্যে রেমিটেন্স যোদ্ধারা কষ্ট করে অর্থ পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছেন’।
গত এক বছরে দেশে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি রিজার্ভ বেড়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে।
অন্যদিকে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রফতানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানিতে ধীরগতি ও বিদেশি ঋণ বৃদ্ধির কারণে আমাদের দেশের রিজার্ভ দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার। একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার।
আর ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর এই রিজার্ভের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৪১ বিলিয়ন ডলার। তবে নভেম্বর মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বাবদ ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করায় রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে।নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তা আবার ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আকুর নভেম্বর-ডিসেম্বরের বিল পরিশোধ করতে হবে। তাই তার আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারের ওপরই অবস্থান করবে।