বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রাধান্য দিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ষাণ্মাসিকের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য মুদ্রানীতি প্রকাশ করেছে। মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি তৈরি করা হয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশ, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। তবে বছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এবারের মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি প্রশমন করা। মুদ্রানীতির প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে অনেক সময় লেগে যায়। এতে মূল্যস্ফীতি কমতে সময় লেগেছে। তবে নভেম্বর থেকে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে।
নীতি সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, এখন থেকে এ হার হবে ৮ শতাংশ। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ৩১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭.৮ শতাংশ করা হয়েছে।
আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে আর্থিক খাতের অবস্থা ভালো হবে বলেও জানান আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোতে শিগগিরই সুশাসন নিশ্চিত হবে। এ বিষয়ে কাজ করা হয়েছে।
দেশে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে দাম নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এক অর্থবছরেই ১৮ বিলিয়ন ডলার কমেছে অবকাঠামো উন্নয়নে। এক বছরে এতটা ব্যয়ের জন্যই রিজার্ভ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ২৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। তবে সে অনুযায়ী ডলার আসছে না। ব্যাংকগুলো প্রয়োজনে ডলার কেনার কারণে নগদ সংকটে পড়েছে। এটাও সমাধান হয়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা, বিএফআইইউ-এর প্রধান কর্মকর্তা, চিফ ইকোনোমিস্ট, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও সহকারী মুখপাত্ররা।