fbpx

ছদ্মবেশে পালিয়ে বেড়াতো ইকবাল : র‌্যাব

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. ইকবাল হোসেন ওরফে ইকবাল ওরফে জাহাঙ্গীর ওরফে সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। হামলার ঘটনার পর থেকেই ইকবালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। কখন থেকেই তিনি ঝিনাইদহ, গাজীপুর ও সাভারে নিরাপত্তাকর্মী, শ্রমিক ও রিকশাচালকের ছদ্মবেশে দিন কাটান। এরপর ২০০৮ সালে দেশ ছেড়ে পালান।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর নিশ্চিত করেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে রাজধানীর দিয়াবাড়ি থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

র‌্যাব মহাপরিচালক সাংবাদিকদের আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল বলেছেন মুফতি হান্নানের নির্দেশে তিনি মঞ্চের দিকে গ্রেনেড ছুঁড়েছিলেন। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ এখনও পাননি তারা বলেও জানান র‌্যাব মহাপরিচালক।

ইকবাল ২০০৮ সালে মালয়েশিয়া পালিয়ে যান। গত বছরের শেষ দিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত হলে মালয়েশিয়া সরকার তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠায়।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত ইকবালের বাড়ি ঝিনাইদহে। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৪ সালে কেসি কলেজ, ঝিনাইদহে ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের নির্বাচিত শ্রেণি প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ছিলেন। দেশে ফিরে এসে তিনি আইএসডি ফোনসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে যুক্ত হন। এ সময় তিনি সর্বহারা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে বিরোধেও জড়িয়ে পড়েন।

র‌্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘২০০১ সালে তার চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আসে বলে ইকবাল জানান এবং তিনি হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হন। মুফতি হান্নানের সংস্পর্শে তিনি আসেন ২০০৩ সালে। তখন থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। মুফতি হান্নান ও হুজি–বির শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতার সংস্পর্শে এসেছেন তিনি। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন গোপন বৈঠকেও অংশ নেন। মুফতি হান্নানের নির্দেশেই তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন এবং মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেন আদালত। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় র‌্যাব মুফতি হান্নান, তার ভাই মুহিবুল্লাহ ওরফে মফিজ ওরফে অভিসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাছাড়া, ২০০৭ সালে র‍্যাব ১৬টি আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply