fbpx

নিউমার্কেট সংঘর্ষ: তিন মামলা, আসামি ১৩০০

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। পথচারী নাহিদ হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা এসব মামলায় ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও হকার মিলে মোট ১ হাজার ৩০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার রাতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

এর মধ্যে নিউমার্কেট থানার এসআই মেহেদী হাসান বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা করেছেন। একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। আরেকটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়ার চাচা মো. সাঈদ।

নিউমার্কেট থানার ওসি শ ম কাইয়ুম বলেন, বুধবার রাতেই মামলা তিনটি রেকর্ড করা হয়। মেহেদী হাসানের মামলায় আসামি ১৫০ থেকে ২০০ জন, সাঈদের মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জন।

আর ইয়ামিন কবিরের করা মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে নিউমার্কেটের অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ ব্যবসায়ী ও কর্মী এবং ৬০০-৭০০ কলেজ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি বলেন, ‘এজহারে যাদের নাম দায়ের করা হয়েছে, তাদের নাম এসেছে উসকানি দাতা হিসেবে। তবে বিস্তারিত এখন বলা যাচ্ছে না।‘

দুই দিনব্যাপী চলা দু’ পক্ষের সংঘর্ষে দুই জন নিহত ও কমপক্ষে ৪০ জন আহন হন। পথচারী নাহিদ এলিফ্যান্ট রোডের ডাটা টেক কম্পিউটার নামের একটি দোকানের ডেলিভারি অ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশের করা সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাহিদের মাথার বাম পাশে পাশাপাশি চারটি কাটা জখম ছিল, জখমগুলো দুই থেকে সাড়ে তিন ইঞ্চি লম্বা। চারটি জখমে ২৩টি সেলাই দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।

পিঠের বাম পাশে পাশাপাশি তিনটি কাটা জখম। যার প্রত্যেকটি পাঁচ ইঞ্চি করে লম্বা। বাঁ পায়ের গোড়ালির নিচে কাটা জখমেও পাঁচটি সেলাই লেগেছিল, এছাড়া উভয় পায়ের বিভিন্ন জায়গায় নীল-ফোলা কালো জখম ছিল। নাক, মুখের ছোলা জখম ছিল।

এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে ইটের আঘাতে আহত মোরসালিন নামের এক দোকান কর্মচারীও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি থানায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply