fbpx

নেত্রকোনায় পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সিলেট ও সুনামগঞ্জের পর নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। আজ ১৮ জুন রোববার থেকে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করবে সেনাবাহিনীর ১০৪ সদস্যের একটি দল। জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে ৭টিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উপজেলা দুটির শহর থেকে শুরু করে সবগুলো গ্রামের বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। এছাড়া খালিয়াজুরি, সদর, আটপাড়া ও বারহাট্টা উপজেলা মিলে প্রায় সাত লাখ মানুষ পানিবন্দি। জেলার সঙ্গে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের সড়ক পথ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। ছয়টি উপজেলায় ২০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা শহরের সব এলাকায় পানি থৈই থৈই করছে। শুকনো ধান, চালসহ ঘরের আসবাপত্র সব কিছু পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বাসাবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছেন। কলমাকান্দ-ঠাকুরাকোনা নবনির্মিত সড়কের স্থানে স্থানে মানুষ তাবু টাঙিয়ে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ গৃহপালিত পশু নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। ওই সড়কটির হিরাকান্দা, আশারানী, পাবই, বাহাদুরকান্দাসহ বেশ কিছু স্থান নিচু থাকায় বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। সড়কের কোথাও কোথাও কোমর পানি। এতে করে জেলার সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, বন্যার কারণে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, খালিয়াজুরিসহ জেলার সাতটি উপজেলার কিছু সাবস্টেশন বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, জেলার দশ উপজেলায় ১৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঠাঁই নিয়েছে। বন্যাকবলিত প্রতিটি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলাসহ মেডিকেল টিম নিয়োজিত হয়েছে। জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রশাসনের লোকজন মানুষসহ গোবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply