সম্প্রতি কসোভোর সার্বিয়া অধ্যুষিত অঞ্চলে একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়। সেখানে কসোভোর এক পুলিশ অফিসার এবং তিনজন সশস্ত্র সার্বিয়ান সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে মোতায়েন করা ন্যাটোর সেনা সদস্যদের ওপর হামলা হয়। সে সময়ে বেশ কিছু রিজার্ভ ফোর্স কসোভোয় পাঠিয়েছিল ন্যাটো। এরপরই আরও ৬০০ সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো।
নির্বাচনের সময়ে সার্বিয়ান অধ্যুষিত কসোভোর বেশ কিছু অঞ্চলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এছাড়া কসোভো-সার্বিয়া সীমান্তে সার্বিয়া সেনা মোতায়েন করেছে। সে কারণেও উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চলছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে সার্বিয়া-কসোভো সীমান্তে যে উত্তেজনা আছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা সকলেই তা বলছেন। বস্তুত, সার্বিয়া এখনও কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয় না।
এদিকে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, ন্যাটো তাদের কাছে সেনা চেয়েছিল। তারা প্রিন্সেস অব ওয়েলসের রয়্যাল ব্যাটেলিয়ন থেকে ২০০ সেনা সার্বিয়ায় পাঠাচ্ছে। এর আগেও তারা কেফরকে (ন্যাটো বাহিনী) সাহায্য করতে বেশ কিছু সেনা সেখানে পাঠিয়েছিল।
মাত্র ১৫ বছর আগে ২০০৮ সালে কসোভো স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তাদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আগে তারা সার্বিয়ার অংশ ছিল। কিন্তু সার্বিয়া কখনোই কসোভোকে আলাদা দেশের স্বীকৃতি দেয়নি।