fbpx

পতিত জমিতে পেঁপে চাষে ভাগ্য বদল কৃষকের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিজেদের কঠোর পরিশ্রম, সরকারি সহযোগিতা ও কিছু এনজিওর পরামর্শে বদলে যাচ্ছে সেখানকার চাষীদের জীবনমান। সুবর্নচর উপজেলার চরমজিদ গ্রামে কৃষক আব্দুল কুদ্দুস পরিত্যাক্ত জমিতে সরকারি প্রণোদনায় পেঁপে চাষে ভাগ্য ফিরিয়েছেন।

আব্দুল মজিদ পরিত্যাক্ত এক একর জমিতে সরকারি ভাবে পেঁপে চারা,সার ও কিটনাশক ব্যবহার করে ২০০ টি পেঁপে চারা চাষ করেছেন। এই গাছগুলো থেকে আনুমানিক ৩৫ টন পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন তিনি। মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচে তার ২ লক্ষাধিক টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

পাশাপাশি একই জমিতে মৌসুমি সবজি আবাদ করে অর্ধলক্ষাধিক টাকা লাভ করেন আব্দুল মজিদ। তিনি জানান, এই পরিত্যাক্ত জমি তার বেকারত্ব দুর করে ভাগ্য ফিরিয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে এখন তিনি ভালো আছেন।

একই গ্রামে তার মতো ভাগ্য বদলেছেন অনেকেই। আব্দুল কুদ্দুস চাষ করেছেন গ্রীণ লেডি হাইব্রিড জাতের পেঁপে। এদিকে নারী চাষী বেগম ফজিলাতুনন্নেছা ১ একর জমিতে ৪০ হাজার টাকা খরছ করে বসত ঘরের পাশে অনাবাদি জমিতে পেপে চাষ করেছেন তিনি। অনুকুল পরিবেশ আর ভালো দাম পেলে ফজিলাতুনন্নেছাও লক্ষাধিক টাকার পেপে বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

এদের দেখে উসৎসাহ পেয়ে আরও অনেকেই তার বাড়িতে পেঁপে চাষ করছেন। কম জায়গায় স্বল্প খরছে, ভালো দর পাওয়ায় বাণিজ্যিক পেপে চাষে ঝুকছেন সুবর্ণচরের চাষীরা।

এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ বলেন, সুবর্ণচর একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল।এখানকার কৃষকরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে বলে প্রতিকুল এবং অনুকুল দুই পরিবেশেই ভালো ফলন তুলতে সক্ষম। তাছাড়া এখানকার কৃষকদের জন্য সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা দ্রুত তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়। কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করতে বিনা মুল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ, সার, কিটনাশক প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন,  এক সময় সুবর্ণচরে বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ হতো না। এবার সরকারি প্রণোদনায় বাণিজ্যিক চাষ হলেও আগামীতে অনেক চাষী পেঁপে চাষে আগ্রহী হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply