রাজশাহীতে আবারও জলচর পাখিশুমারি হয়েছে। একটি গবেষক দল জেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চলে জরিপ চালিয়ে প্রায় ৪১ প্রজাতির পাখি খুঁজে পেয়েছে।
চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ ওয়াইল্ড বার্ড মনিটরিং প্রোগ্রামের অধীনে যৌথভাবে বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাব, রাজশাহী বার্ড ক্লাব এবং বন বিভাগের সহযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার
আইইউসিএন পদ্মা নদীর ৩৯ কিলোমিটার চর এলাকায় এই জরিপ চালায়।
চর খানপুর, চর খিদিরপুর, ১০ নাম্বার চর, চারঘাট ও মধ্য চর এলাকায় বেশিরভাগ পাখি প্রজাতি দেখা যায়।
জরিপ চলাকালীন ৪১টি প্রজাতির মোট ২ হাজার ৭ শ’ ৯টি পাখি গণনা করা হয় এবং এর মধ্যে ২৮টি পরিযায়ী পাখি রয়েছে।
ধারনা করা হয়, পদ্মা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চল রয়েছে, যা প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ হওয়ায় এখানে বসবাস ও খাদ্যের কারণে তা পাখিদের আকর্ষণ করে। তাই পদ্মা নদী অববাহিকার চরভূমির উপর দৃষ্টি দিয়ে এই জরিপ চালানো হয় ।
এই জাতীয় নদী অঞ্চলের আবাসস্থল পাখি প্রজাতির ব্যাপক বৈচিত্রে সহায়তা করে, এদের মধ্যে অনেকগুলোই বালুচরে এবং অন্যগুলো ঘাসে বা খালের মধ্যে বাসা বাঁধে।
শীত মৌসুমে বেশ কিছু পরিযায়ী পাখি পদ্মা চরাঞ্চলে আসে এবং কিছু মানুষ অর্থ উপার্জনের জন্য এইসব পাখি শিকার করে।
গত বছর ৩৭টি প্রজাতির মোট ৪ হাজার ২৫টি পাখি গণনা করা হয় এবং এর মধ্যে ২৭টি পরিযায়ী পাখি ছিল।
রাজশাহী বার্ড ক্লাবের পক্ষথেকে পদ্মা নদী কূলকে পাখিদের জন্য একটি অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ।