গত ২৫ জুন পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতু। সেতু খোলার প্রথম ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় পৌনে ৩ কোটি টাকা। আর দ্বিতীয় দিনে ২৪ ঘন্টায় টোল আদায় হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকার মতো।
সেতুতে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ ঘোষণায় যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে তিন-চতুর্থাংশ। আর টোলের পরিমাণ কমে এসেছে পৌনে এক কোটি টাকা। সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৬১ হাজার ৮৫৬টি যান চলে। যা থেকে মোট টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৭৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকা।
প্রথম দিনে মোটরসাইকেল চলাচলে কোনো বাধা না থাকলেও রাতে সেতুতে দুর্ঘটনায় দুইজন মারা যান। এ ঘটনার পর সোমবার সকাল ৬টা থেকে সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষনা করে সরকার।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ২৭৪টি যানবাহন পার হয়েছে। এখান থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা।
এ সময় মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সেতুতে উঠেছে ৭ হাজার ৫৮৬টি যানবাহন। টোল আদায় হয়েছে ৯৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্ত থেকে যানবাহন উঠেছে ৭ হাজার ৬৮৮টি। টোল আদায় হয়েছে ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ টাকা।
তৃতীয় দিনে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে মাওয়া টোল প্লাজায় টোল পরিশোধ করে যানবাহন নিয়ে সেতু দিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন লোকজন। তবে সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ থাকায় এবং ফেরি না চলায় বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সকাল থেকে খুব স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে। সেতুর মাওয়া প্রান্তে কোনো চাপ নেই। মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ রয়েছে।