fbpx

পরীকে কেন বারবার রিমান্ড, বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে কেন তিন দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন।

২৯ আগস্ট আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে তিনি এ আবেদন করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, তিন দফায় সাত দিনের মধ্যে প্রথমে চার দিন, দ্বিতীয় দফায় দুই দিন ও তৃতীয় দফায় পরীমনিকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গুরুতর প্রকৃতির অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত দীর্ঘ সময় রিমান্ডে নেওয়া হয়ে থাকে। জাতীয় নিরাপত্তা বা জনগুরুত্ব বিষয়ে গুরুতর মামলায় আদালতের এত দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিতে দেখা যায়। পরীমনিকে এত দিনের রিমান্ডে নেওয়া সংবিধানের চেতনা, মৌলিক অধিকার ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার (আটক ও রিমান্ড–সংক্রান্ত) লঙ্ঘন।

এসব দিক বিবেচনায় স্বতঃপ্রণোদিত রুল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। সংশ্লিষ্ট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা এবং তিন দফায় পরীমনির ১৯ দিন রিমান্ডের প্রার্থনা কেন বেআইনি হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। আদালতে পরীমনিকে কথা বলার সুযোগ না দেওয়া কেন বেআইনি হবে না, তা নিয়েও রুল চাওয়া হয়েছে। আসকের পক্ষে আবেদনটি করেছেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।

এর আগে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীর জামিন আবেদনের শুনানি নিষ্পত্তি করার জন্য জজ আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পরী। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে গত বুধবার সকালে আবেদনের বিষয়ে অনুমতি নেওয়া হয়। পরে সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন পরীর আইনজীবী মুজিবুর রহমান।

পরীকে প্রথম দফায় চার দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি।

সবশেষ গত ১৯ আগস্ট পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট আদালতে হাজির করা হলে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

পরীর চরিত্রহানির তথ্য ও ভিডিও সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে রিট

Advertisement
Share.

Leave A Reply