রাত পোহালেই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। বুধবার ছিল প্রার্থীদের প্রচারণার শেষ দিন। বৃহস্পতিবারও তারকাদের উপস্থিতিতে সরব ছিল এফডিসি।
বাদ-প্রতিবাদ, আলোচনা-সমালোচনা। সব কিছুতে আগের নির্বাচন থেকে এবার অনেক বেশি টানটান উত্তেজনা বইছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। নিজ প্যানেলের সমর্থন টানতে তারকাদের প্রতিশ্রুতির ডালা, বক্তব্য হার মানছে জাতীয় নির্বাচনকেও।
ভোটাররাও উৎকণ্ঠিত। বলছেন লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি, সমানে সমান। এক ভোটার বলেন, ‘সমিতিতে মূর্খ লোক নাই। সবাই ট্যালেন্ট। সবাই শিল্পী, উচ্চ শিক্ষিত। ভোট বিবেচনা করেই দিতে হবে। দুই প্যানেলের প্রার্থীরাই আপন। কিন্তু তার মধ্যেও যোগ্য-অযোগ্য আছে। সমিতিতে কারে আনলে উন্নতি হবে এটা বিবেচনা করেই ভোট দিতে হবে।’
গেল চার বছর ধরেই, ক্ষমতায় আছে মিশা-জায়েদ পরিষদ। করোনার সময় শিল্পীদের পাশে থাকায় বেশ সুনাম আছে তাদের। তবে শিল্পীদের সদস্যপদ বাতিল, দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগের তীর রয়েছে তাদের দিকে।
এফডিসিতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মিশা জায়েদের প্যানেলে ভোটারদের ভিড় ছিল উপচে পড়া। বুথে এই ভিড় কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন তাই দেখার বিয়ষ। তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় আসতে, বলা যায় কোমোর বেঁধেই লেগেছে এই পরিষদ।
মিশা-জায়েদের বিপরীতে রয়েছেন শক্ত প্রতিপক্ষ। ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুনের প্যানেল। শুধু অভিনয় আর ব্যক্তিত্বে নয়, সামাজিক কাজে অবদানের জন্য আস্থার জায়গায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এই প্যানেলের আর একটি প্লাস পয়েন্ট, বিভিন্ন পদে প্রার্থী হিসেবে যারা লড়ছেন তাদের মধ্যে তরুণরাই বেশি।
প্রতিশ্রুতির আড়ম্বর যাই হোক, তার চুল চেরা বিশ্লেষন করেই ভোট দিবেন শিল্পীরা। কার মাথায় উঠবে জয়ের মুকুট, প্রশ্নের উত্তর মিলবে ২৮ জানুয়ারি।
https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/641060023984142