ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের কথা চিন্তা করে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌরুটে সাধারণ পণ্যবাহী গাড়ির পারাপার ১০ দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ। তবে এসময় ‘পচনশীল ও জরুরি’ পণ্যের গাড়ি পার হতে পারবে বলে জানান তিনি।
রবিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপদে যাত্রী পরিবহন’ শীর্ষক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগ বিবেচনায় বিগত সময় ঈদের আগে তিন দিন ও ঈদের পরে তিন দিন- মোট ছয় দিন পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার বন্ধ থাকলেও এবার তা বাড়িয়ে ১০ দিন করা হয়েছে। ঈদের আগের পাঁচ দিন এবং পরের পাঁচ দিন এসব গাড়ি পারাপার বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
সভায় জানানো হয়, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার সদস্যরা কাজ করবে। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে।
করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধ থাকায় গত দুই বছর মানুষ বাড়ি যেতে পারেন নি। তবে এবার করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় ঈদের আগে পাটুরিয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এজন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে ও পরে মোট ১০ দিন পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়ায় না আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।
সভায় সাভারের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক বিভাজক বসানো হয়েছে। আগের মতো দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসগুলোকে আর ধীরগতিতে চলতে হবে না। দূরপাল্লার বাস সরাসরি চলতে পারবে।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ঘাট এলাকায় পুলিশের আট শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের পৃথক তিনটি ভ্রাম্যমাণ (টহল) দল কাজ করবে।