fbpx

পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে বিতর্কে টুইটার সিইও

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় সন্তানের জনক হতে যাচ্ছেন টুইটার ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী পরাগ আগারওয়াল। এজন্য তিনি কয়েক সপ্তাহের ছুটি নেবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।

পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে সমাজে যে প্রচলিত ট্যাবু আছে, সেই প্রথাকেই ভাঙতে চান তিনি। এ নিয়ে অনেকে তার প্রশংসা করলেও বেশিরভাগ মানুষ বলছে, এই পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বেশিদূর যাতে পারবেন না।

আগারওয়ালের এই ঘোষণাই প্রমাণ করে, মার্কিন কোম্পানিগুলোতে কত দ্রুত নিয়ম বদলাচ্ছে। রেডিট ইনকরপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান আগারওয়ালের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনার যত সময় লাগে (ছুটি) নিন।’

তবে বাকিরা অভিযোগের সুরে বলছে,আগরওয়াল যদি টুইটার নির্ধারিত ২০ সপ্তাহের বেশি আরও ছুটি নিলে কর্মীরাও ভাববেন এমন ছুটি পাওয়াই যাবে।

আগারওয়ালকে উদ্দেশ্য করে অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান টুইটারে লিখেছেন, ‘আপনি পিতৃত্বকালীন ছুটি এভাবে ভাগ করতে পারেন না। যেমন প্রথমে কয়েক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে এটা নিশ্চিত হওয়া যে বাড়িতে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে কি না। এরপর প্রতি শুক্রবার ছুটি নিয়ে বাকি ছুটি ব্যবহার করা।’

অ্যালেক্সিস ওহানিয়ানের আরেক কোম্পানি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম ইনিশিয়ালাইজড ক্যাপিটালের কর্মীরা বর্তমানে চার মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটি পান।

প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্যারি ট্যান গত অক্টোবরে বলেন, সময় আসলে পুরো চার মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটি নেবেন তিনি, যাতে করে সব কর্মী স্বাচ্ছন্দ্যে ছুটি নিতে পারেন।

গত বছরের নভেম্বরে পরাগ আগারওয়াল টুইটারের প্রযুক্তি প্রধান থেকে টুইটারের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পান। টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।

টুইটারের মুখপাত্র লরা ইয়াগারম্যান বলেছেন, ‘পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকার সময় টুইটারের নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন আগারওয়াল।’

তিনি আরও বলেন, ‘যার যেভাবে ছুটি নিলে ভালো হয়, টুইটারে আমরা কর্মীদের সেভাবেই পিতৃত্বকালীন  ছুটি নেওয়ার জন্য উৎসাহিত এবং পূর্ণ সমর্থন করি।’

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, পিতৃত্বকালীন ছুটির কোনো সময় বেঁধে দেওয়া নেই। তবে বাইডেন প্রশাসন ‘বিল্ড ব্যাক বেটার প্ল্যান’–এর খসড়ায় ১২ সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা রাখা হয়। পরে অবশ্য সেটি চার সপ্তাহ করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের মাত্র ২৩ শতাংশ এই ছুটি পান।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply