যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ টিকটিক। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস একটি বিল পাস করেছে যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। আইনটির মাধ্যমে টিকটকের প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্সকে তার নিয়ন্ত্রণাধীন শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হবে অন্যথায় অ্যাপটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক করে দেওয়া হবে।
হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ বিলটি সব দলের ভোটে পাস হলেও, এটিকে এখনও সিনেটে পাস করাতে হবে এবং আইনে পরিণত করতে হলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর লাগবে।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা টিকটকের উপর চীনের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত টিকটকের মূল মালিকানা চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স এর। টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে নিবন্ধিত এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ জুড়ে এর অফিস রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ কোটি নাগরিক অ্যাপটি ব্যবহার করেন। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে দুই দলেরই সমর্থন পেয়েছে বিলটি। এর পক্ষে পড়েছে ৩৫২ ভোট, আর বিপক্ষে পড়েছে মাত্র ৬৫ ভোট।
অন্যদিকে, তরুণ প্রগতিশীলদের চাপের মুখে পড়ছে ডেমোক্রেটিক পার্টি। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তরুনরা।
জো বাইডেন এর আগে বলেছিলেন, বিলটি যদি সিনেটে পাস হয়ে তার ডেস্কে আসে তিনি সঙ্গে সঙ্গে এতে সই করবেন। যদি তাই হয় তবে বাইটড্যান্সকে শেয়ার বিক্রির জন্য চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাইতে হবে। তবে চীন ইতোমধ্যেই জানিয়ে রেখেছে তারা এই ধরনের কোনো অনুমতি বাইটড্যান্সকে দেবে না। যা চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণ হতে পারে।
টিকটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা মার্কিন নাগরিকদের তথ্য চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে সরবরাহ করছে। তবে সংস্থাটি আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রে তার ১৫০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর ডাটাবেজে চীনের বাইটড্যান্স-এর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রবেশাধিকার নেই। টিকটকের প্রধান নির্বাহী শৌ জি চিউ বলছেন, তারা ডাটা সুরক্ষিত রাখতে এবং প্ল্যাটফর্মটিকে বাইরের কারসাজি থেকে মুক্ত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে গত জানুয়ারিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি তদন্তে বেরিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে চীনের বাইটড্যান্সের কাছে ডাটা শেয়ার করেছে টিকটক।