হু হু করে বাড়ছে মোটা মানুষের সংখ্যা। অনেকেই শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে তৎপর। তবে বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, দেহের অন্যান্য অংশের মেদ ঝরে গেলেও পেটের মেদ কমে না সহজে। কিন্তু ঠিক কী কারণে পেটের মেদ বেড়ে যায় বা কমাতে কষ্ট হয়? জানেন কি?
বিপাক হার
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাক হার ধীর হতে থাকে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে ধীর গতির বিপাক হার পেটের মেদ বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেক সময়ে থাইরয়েডের সমস্যা কিংবা ডায়াবিটিসের মতো একাধিক রোগ কমিয়ে দিতে পারে বিপাক হার। তাই বিপাকক্রিয়া ভালো করতে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা জরুরি।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
শর্করা ও স্নেহপদার্থ সমৃদ্ধ অতিরিক্ত খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে ভুঁড়ি। বিশেষ করে বাজারজাত ফাস্টফুড বেশি খেলে পেটের মেদ কমানোর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেতে পারে। তাই পেটের মেদ কমাতে চাইলে এসব বাজারজাত খাবার, অতিরিক্ত তেলজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শুধু যে মনের জন্যই খারাপ তা নয়, সেই সাথে শরীরের জন্যও খারাপ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এমনই একটি হরমোন কর্টিসোল। এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে পেটে মেদ জমতে থাকে।
শরীরচর্চার অভাব
ভুঁড়ি কমাতে চাইলে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। শুধু ঘাম ঝরানোই নয়, নিয়মিত ব্যায়াম করলে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয় না। ফলে মেদ কমে।