fbpx

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা খেতে রাজি তবে…

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে চা খেতে চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে আসতে চাইলে বিএনপি নেতাদের সেখানে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই প্রতিউত্তরে বিএনপি এই কথা জানিয়েছে।

রবিবার (২৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অমানিশা: দুর্নীতি আর লুটপাটের খেসারত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি জানিয়ে আসছে, সেই দাবি পূরণ হলে দলটির নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চা খেতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চা খাওয়ার আগে বলুন যে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নেবেন। আমি গতকালও (শনিবার) বলেছি, একমাত্র সমাধান হচ্ছে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক ও জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে চা খেতে অসুবিধা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কার্যালয়ে আসলে চা খাওয়াব। তার আগে বলে দেন, নিরেপক্ষ সরকার সিস্টেম এনে দিচ্ছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ব্যবস্থা সরকার করেছে। কিন্তু জ্বালানি কোথা থেকে আসবে সে ব্যবস্থা করেনি। জ্বালানির ব্যাপারে সরকার কোনো পরিকল্পনা করেনি। পরিকল্পনা না করার কারণে দেশে আজ বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে।’

এসময় মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে যত রকমের রেন্টাল-কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট, আনবিক শক্তির পাওয়ার প্লান্ট সব কিছু তারা করছে। আমাদের দেশে ৫১ ভাগ জ্বালানি আসে গ্যাস থেকে। কিন্তু সেই গ্যাস উত্তোলনের কোনো ব্যবস্থা গত ১৫ বছরে সরকার করেনি। এ সময়ে সরকার শুধু কি করে লুট করে টাকা বিদেশে পাচার করা যায় এটাই কেবল করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘লোডশেডিং গ্রামে বেশি হয়। সেখানে ৭-৮ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হয়। শহরের মানুষদের খুশি রাখার জন্য শহরে লোডশেডিং কম হচ্ছে। কারণ শহরের মানুষ একটু বেশি হৈচৈ করে, আন্দোলন করে। এজন্য শহরে কম লোডশেডিং হচ্ছে।

‘শহরের মানুষদের খুশি রেখে গ্রামে যারা কৃষি কাজ করে, ফসল ফলান তাদের লোডশেডিং বেশি দিচ্ছে। ফলে কী হবে? ফসল উৎপাদন কমে যাবে। ধান উৎপাদন কমে যাবে। খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে চলে যাবে। এভাবেই পতন অনিবার্য হবে বলেও জানান এই নেতা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি প্রত্যেক দিন যে কষ্টটা পাই, আমি যখন উত্তরা থেকে প্রেসক্লাবে আসি তখন। সরকার সড়কের নাম দিয়েছে বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট এবং কিছুক্ষণ পর পর দেখি নিচে নেমে যাচ্ছে আবার উপরে উঠে যাচ্ছে। আমার মাথায় ঢোকে না, র‍্যাপিড ট্রানজিটটা কিভাবে হবে? এ ব্যবস্থার কারণে আব্দুল্লাপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যেতে একঘন্টা লেগে যায়। এই যে অব্যবস্থা, এই যে পুরোপুরিভাবে মানুষকে কষ্ট দেওয়া এর মূল কারণ হচ্ছে টাকা লুট করা।’

বিএনপি মহাসচিব এ সময় খনার বচন উল্লেখ করে বলেন, ‘রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, প্রজা কষ্ট পায়। দেশের শাসনকর্তাদের দুর্নীতি, লুটপাট, অশিক্ষা, ব্যর্থতা সব মিলেয়ে দেশের মানুষর জীবন দুর্বিসহ হয়ে গিয়েছে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply