fbpx

ফজলুল হক মনির লেখনি যুবসমাজের জন্য পাথেয়: ঢাদসিক মেয়র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শেখ ফজলুল হক মনির লেখনি যুবসমাজের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে বনানী কবরস্থানে শেখ ফজলুল হক মনির কবরে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র এই মন্তব্য করেন।

শেখ তাপস বলেন, “শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি কখনোই সত্য প্রকাশে দ্বিধা করেননি। লেখনির মাধ্যমে জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মুজিববাদের কার্যক্রম তিনি তুলে ধরেছেন। এছাড়াও মুজিববাদের নীতি-আদর্শ কি হবে এবং মুজিববাদ বিস্তারে সংগঠনের নেতা কর্মীদের কি করতে হবে – এ ব্যাপারে তিনি তার লেখনির মাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছেন, দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। জাতি গঠনে যুবসমাজকে কিভাবে নিয়োজিত করা যায়, সে বিষয়ে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি যে সকল নির্দেশনা রেখে গেছেন তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে পাথেয় হয়ে থাকবে।”

শেখ ফজলুল হক মনি ছাত্রজীবন থেকেই জাতির পিতার নির্দেশনা ও নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতার সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র বলেন, “তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ছাত্রলীগের যে নিউক্লিয়াস গঠন করা হয়েছিল, যাদেরকে দিয়ে ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেই নিউক্লিয়াসের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, মুক্তি সংগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। জাতির পিতার নির্দেশে মুজিব বাহিনী গঠন করেছেন এবং রণাঙ্গনে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।”

স্বাধীনতা পরবর্তী জাতি গঠনে ফজলুল হক মনি ৩টি পত্রিকা প্রকাশ করেন উল্লেখ করে শেখ তাপস বলেন, “দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস এবং সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন সিনেমা চালু করেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন, মেধাভিত্তিক জাতি গঠনে লেখনি অন্যতম ভূমিকা পালন করে এবং সেজন্য তিনি সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছিলেন। এছাড়াও জাতি গঠনে যুব সমাজকে সুসংগঠিত করতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”

ঢাদসিক মেয়র বলেন, “শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির মাত্র ৩৫ বছরের জীবনকালে তিনি প্রায় ৯ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। দেশবাসী ও দলকে সংগঠিত করতে হুলিয়া নিয়েও তিনি বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরে বেড়িয়েছেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার সাথে তিনি শাহাদাতবরণ করেছেন। আজকের দিনে তাঁর প্রতি আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।”

Advertisement
Share.

Leave A Reply