fbpx

বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ‘অলরাউন্ডার’ সাকিব

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ওমানকে হারিয়ে মূলপর্বে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে টাইগারদের জয় ২৬ রানে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় টিম টাইগার্স। ব্যাট হাতে ৪২ রানের পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান। একাদশে ফিরেই এদিন ৬৪ রান করেছেন নাঈম শেখ।

মাঝারি টার্গেট, দেখেশুনে ব্যাটিং করলেই জয় পাওয়া সম্ভব। সেখানে পাওয়ারপ্লেতেই স্বাগতিকরা তুলে ফেলেছে ৪৭। যদিও যতটা না কৃতিত্ব ওমানের ব্যাটসম্যানদের, তার থেকেও বেশি বাংলাদেশের বোলারদের। তাসকিন আহমেদ আর মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম দুই ওভারেই এসেছে ২৪ রান। এমনকি ৫টি ওয়াইড দিয়ে দ্বিতীয় ওভার করতে মুস্তাফিজ লাগিয়েছেন ১১ বল।

বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ‘অলরাউন্ডার’ সাকিব

শুধুই বোলার নয়, বোলারদের সহায়তা করার কাজটা করতে পারেননি ফিল্ডাররাও। বাংলাদেশের জয়ে পথের কাঁটা জাতিন্দর সিং আর কাশ্যপ প্রজাপতি দু’জনকেই জীবন দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। অনবরত সিঙ্গেলস খেলে বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন জাতিন্দর সিং। ১৩ নম্বর ওভারে তাকে ফেরান সাকিব আল হাসান, ওমানের রান তখন ৯০।

বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ‘অলরাউন্ডার’ সাকিব

তবে, বাংলাদেশের জয়ের প্রধান নায়ক মাহেদি হাসান। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও আঁটোসাঁটো বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের আটকে রেখেছেন। তার বোলিং স্পেল চার ওভারে মাত্র ১৪ রানে ১ উইকেট। মাহেদি যেখানে চাপে রেখেছেন, সেখানে উইকেট নেওয়ার কাজটা করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেখানে প্রথম দুই ওভারে ১৯ রান খরচ করেছেন, সাথে ২টি উইকেট নিয়েছেন।

এক পর্যায়ে ওমানের সামনে জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ৫ ওভারে ৫৪, তাদের হাতে তখনো ৬ উইকেট। ১৭ নম্বর ওভারে পরপর দুই বলে উইকেট নিয়ে জয়ের পাল্লা নিজেদের দিকে টেনে আনেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। চার ওভার শেষে তার বোলিং স্পেল ২৮ রানে ৩ উইকেট। বাকি কাজটুকু করেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার শিকার রানে চার উইকেট। শেষ পর্যন্ত ওমানের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১২৭।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ১৫৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলীয় ২১ রানেই নেই ২ উইকেট। ব্যাট হাতে এ ম্যাচে আরেকবার ব্যর্থ লিটন দাশ, একবার জীবন পেয়েও ফিরেছেন ৭ বলে ৬ রানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ১০ ইনিংসে লিটনের রান মাত্র ৮৫! আগের ম্যাচে ৩ নম্বর পজিশনে সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসান, তার জায়গায় এদিন খেলানো হয় মাহেদি হাসানকে। তিনিও আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ, ৪ বলে ০ রানে ফিরেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

মাঝের সময়টা সাকিব-নাইমের। প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে রান তোলায় মনোযোগ দেন দু’জনই। গড়েন ৮০ রানের জুটি। ব্যাট হাতে ধুকতে থাকা সাকিব আস্তে আস্তে রানের গতি বাড়ান। শেষপর্যন্ত ২৯ বলে করেন ৪২ রান। পয়েন্টে দাঁড়ানো ইলিয়াসের ডিরেক্ট থ্রোতে রানআউট হয়ে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন তখনও একপ্রান্ত আগলে আছেন নাঈম শেখ। সাকিব না পারলেও ঠিকই পেরেছেন নাঈম শেখ। ৫০ বল করে আউট হয়েছেন ৬৪ রানে।

বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ‘অলরাউন্ডার’ সাকিব

বড় রানের সম্ভাবনা জাগালেও ১৫৩ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার পেছনের দায়টা নুরুল হাসান সোহান-আফিফ হোসেনদের উপরেই বর্তায়। মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের আগেই তাদের ব্যাটিং করতে পাঠানো হলেও কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। শেষদিকে, অধিনায়ক রিয়াদের ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংসে কোনোমতে দেড়শ’ পেরোয় বাংলাদেশ। ওমানের হয়ে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন বিলাল খান।

Advertisement
Share.

Leave A Reply