fbpx

বিচারব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা: ইসরায়েলের ইতিহাসে অন্যতম বড় বিক্ষোভ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ইসরায়েলের ইতিহাসে অন্যতম বড় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে কয়েক লাখ মানুষ ইসরায়েলের রাস্তায় নেমে এসেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দিয়েছে এ খবর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারব্যবস্থার আমূল বদল আনতে সরকারি পরিকল্পনার প্রতিবাদে ১০ সপ্তাহ ধরে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। হাইফা শহরে রেকর্ডসংখ্যক বিক্ষোভকারী নেমেছেন। আর তেল আবিবের রাস্তায় বিক্ষোভ করেন দুই লাখ মানুষ।

সমালোচকেরা বলছেন, বিচারব্যবস্থার সংস্কার গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ইসরায়েলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার বলছে, বিচারব্যবস্থার পরিবর্তন ভোটারদের জন্য ভালো হবে।

আয়োজকেরা বলছেন, গতকাল শনিবার গণতন্ত্রের দাবিতে পাঁচ লাখ বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন। ইসরায়েলের হারেৎজ পত্রিকা বলছে, দেশটির ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।

ইসরায়েলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর বির শেভায় সমবেত বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংকট। লাপিদ আরও বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসের মধ্যে পড়েছি। আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত, অর্থ দেশ থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছে। গতকাল সৌদি আরবের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে সই করেছে ইরান। তবে এ সরকারের একমাত্র কাজ হলো ইসরায়েলের গণতন্ত্র ধ্বংস করা।’

তেল আবিবের বিক্ষোভকারী তামির গুয়েতসাবরি রয়টার্সকে বলেন, ‘এটা বিচারিক ব্যবস্থার সংস্কার নয়। ইসরায়েলকে পুরোপুরি একনায়কতন্ত্রে ফেরাতে বিচারিক ব্যবস্থায় বিপ্লব আনা হচ্ছে। আমি চাই, আমার সন্তানদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য ইসরায়েল গণতন্ত্রের পথে থাকুক।’

বিচারব্যবস্থার এ সংস্কারের ফলে নির্বাচিত সরকার বিচারকদের ওপর প্রভাব বজায় রাখার ক্ষমতা পাবে। নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বা আইনপ্রণয়নের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাও খর্ব করা যাবে এ সংস্কারের ফলে। এ পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েলি সমাজে ব্যাপক বিভেদ তৈরি হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁরা নেতানিয়াহুকে বহনকারী উড়োজাহাজ দেশের বাইরে যেতে বাধা দেন। পরে অবশ্য তিনি রোমের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তবে বিক্ষোভ দমনে ইসরায়েলি সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সরকার বলছে, বিরোধী রাজনৈতিক দল এ বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে।

তবে সমালোচকেরা বলছেন, তারা পরিকল্পিতভাবে সংস্কার এনে পার্লামেন্টে নিজেদের জায়গা করে নিতে চায়। তারা বিচারব্যবস্থার রাজনৈতিকীকরণ করবে ও কর্তৃত্ববাদী সরকারের দিকে দেশকে নিয়ে যাবে।

নেতানিয়াহু বলছেন, আদালতের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা চলে যাওয়া বন্ধ করতে এসব সংস্কার আনা হয়েছে। গত নির্বাচনে ইসরায়েলি জনগণ তাঁদের ভোট দিয়েছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply