fbpx

বিদেশী ফল পেপিনো মেলন চাষে চৌগাছার তাইজুলের সাফল্য

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিদেশী ফল পেপিনো মেলন চাষ হচ্ছে যশোরের চৌগাছায়। চৌগাছার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর গ্রামের চাষি তাইজুল ইসলাম এই বিদেশি ফলের চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছেন।

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল চাষ করার আগে ইউটিউব দেখে চাষ শিখেন যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলা তাইজুল ইসলাম।

তিনি জানান, প্রথমে ইউটিউব দেখে চাষ শিখে পরে পাশের গ্রামের প্রবাসী সেলিমের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করেন। পরে ৩৩ শতাংশ জমিতে রোপণ করেন তাইজুল। চারারোপণের ২ মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছ ফুল-ফলে ভরে যায়। বর্তমানে তার ক্ষেতে প্রায় ৫০ মণ পেপিনো মেলান রয়েছে। নতুন জাতের ফল চাষে সফল হয়ে চাষি তাইজুল ইসলাম খুবই খুশি।

পেপিনো চাষে কোনো রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয় না, জমিতে খুব কম পরিমাণে জৈব সার ব্যবহার করলেই ফুল ফলে ভরে যায় বলে জানান এই চাষি।

তিনি বলেন, এই অঞ্চলে নতুন চাষ হয়েছে। যে কারণে মানুষের কাছে অপরিচিত। বিভিন্ন এলাকা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি প্রতি কেজি পেপিনো ফলের মূল্য ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তাইজুল এলাকায় প্রচারের জন্য আরো কম দামে বিক্রি করবেন বলে জানান। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে এই ফল ক্রয়ের জন্য অনেক ব্যবসায়ী তার সাথে যোগাযোগও করেছেন।

ভাদ্র-আশ্বিন মাসে এই ফলের চারা রোপণ করতে হয়। একবার রোপণ করে দুই থেকে তিন বছর ফল পাওয়া যাবে এবং প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে খুব কম খরচে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

পেপিনো মেলন পুষ্টি ও ওষধি গুণাগুন সমৃদ্ধ একটি ফল। এই ফলটি দেখতে কিছুটা ডাব বা বেগুনের মত। কিন্তু এই ফল খেতে অত্যান্ত সুস্বাদু। ফলটি পাকলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। এটি তরমুজের মত রসালো বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর।

পেপিনো মেলনে আরও রয়েছে ভিটামিন সি,অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিনের পাওয়ার হাউস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি ক্যান্সারজনিত কোষগুলির সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যাবশ্যক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply