fbpx

‘বিদ্যুতের সকল সেবা একই স্থানে দেওয়া হলে গ্রাহক হয়রানি কমবে’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সংযোগ, সংযোগোত্তর সেবা, তথ্য সেবা বা বিল প্রদান এই সকল সেবা একই স্থানে থাকা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ সময় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোতে একই স্থানে সব সেবার ব্যবস্থা করা গেলে গ্রাহক হয়রানি কমবে বলেও জানান তিনি।

১৯ জুন শনিবার ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার’ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, টুইন টাওয়ারে আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশের পাশাপাশি থাকছে বাণিজ্যিক স্পেস। এর ফলে ডিপিডিসির আয় বাড়বে। এছাড়া এই ভবনে ডিজিটাল মিউজিয়াম থাকবে, যা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়নের রূপান্তর বিষয়ে সচেতন করবে। এ সময়  দ্রুত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, চীনের সহযোগিতায় ডিপিডিসি এলাকায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সুবিধা তৈরি ও বিদ্যুৎ বিতরণ সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া’ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। ইপিসি কন্ট্রাক্টর হলো- চীনের টিবিইএ কোম্পানি লিমিটেড। এ প্রকল্পে ১৪টি ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন, ২৬টি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন, স্কেডা অটোমেশন সিস্টেম, আধুনিক ম্যাকানাইজড ওয়ারহাউজ, ভূগর্ভস্থ তার ১৩২ কেভি ৬৫৩ কিলোমিটার ও ৩৩ কেভি ৭০০ কিলোমিটার, বিতরণ লাইন ক) ১১ কেভি ৫৬৭ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ, খ) ১১ কেভি ২ হাজার ৫১৫ কিলোমিটার ওভারহেড গ) ০.৪ কেভি দুই হাজার কিলোমিটার ওভারহেড, ধানমন্ডিতে ১০৫ কিলোমিটার ওভারহেড তার ভূগর্ভস্থ করা এবং আধুনিক সাবস্টেশন কাম অফিস/বাণিজ্যিক/আবাসিক হাইরাইজ ভবন নির্মাণ রয়েছে।

ডিপিডিসির ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার ৭.৩২ একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে, যার ৫০ ভাগ ভূমিই থাকবে উন্মুক্ত। প্রযুক্তিগত বিষয় ও অফিশিয়াল স্পেস ছাড়াও তিন তলাবিশিষ্ট বেজমেন্টের ওপর ভবনটির আরও ১৫ তলা থাকবে। থাকবে বাণিজ্যিক স্পেস, ডিজিটাল মিউজিয়াম, বাংকোয়েট হল, সিনেপ্লেক্স, ক্যাফে ও ফুট কোর্ট।

Advertisement
Share.

Leave A Reply