fbpx

বিয়ে-সংসার কি মুদি দোকানের মতো কারবার?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শরীফুল রাজের অ্যাকাউন্ট থেকে সুনেরাহ, তিশা এবং তুষির ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর মিডিয়া অঙ্গন বেশ নড়েচড়ে বসেছিলো। এবার সেসব ভিডিও ছাপিয়ে সামনে চলে এসেছে রাজ-পরীর ঘরের খবর। ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে রাজ-পরী দুজনের পক্ষ থেকেই এসেছে নানা বক্তব্য। যেখানে অনেকটাই স্পষ্ট এই তারকা দম্পতির সম্পর্কে বড়সড় ফাটল ধরেছে। তা আরও একবার স্পষ্ট হলো রবিবার সকালে পরীমণির এক পোস্টে।

সকাল সোয়া ৭টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন পরীমণি। ভিডিওটিতে দেখা যায়, অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় মোবাইল ফোনে রাজের সঙ্গে কথা বলার একটি রেকর্ড শোনান।

এই ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে রাজকে মেনশন করে ক্ষুব্ধ পরীমণি লিখেছেন, ‘শরিফুল রাজ, আমার বাচ্চার নাম মুখে আনবি না আর কোনো দিন। আজকেও মাঝ রাত্তিরে তোর মাতলামি মেনে নিয়ে বাচ্চাকে দেখাতে নিয়ে গেছিলাম তোর কাছে! আগে সুস্থ মানুষ হ জানোয়ার।’

এদিকে ৪ জুন রাজ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন তিনি বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন কাজের জন্যই। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকাতেই আছি, কাজ করছি। এরই মধ্যে ‌’দেয়ালের দেশ’, ‌’ইনফিনিটি’, ‌’কাজলরেখা’ ছবিগুলোর ডাবিং শেষ করছি। সুতরাং আমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। এসব মিথ্যাচার করে কী লাভ হচ্ছে, তা আমার জানা নাই। আমি সব সময়ই পরীকে সম্মান দিয়ে কথা বলি। কিন্তু সে কেন এমন করে, বুঝি না।’

তবে পরীর বক্তব্য ভিন্ন, তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, গিয়াস উদ্দিন সেলিম রাজকে সঙ্গে নিয়ে নাকি পরীর বাসায় এসেছিলেন, পরীকে তিনি বলেছেন রাজ পরীর সাথে থাকতে চান না। পরী বলেন, রাজ তো তোমার সঙ্গে থাকতে চায় না। বিচ্ছেদের ব্যাপারে চিন্তা করতে পারো।” আমি বললাম, ‘ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, তাহলে ও–ই আমাকে ডিভোর্স দিক। আমি কেন দিতে যাব।’ পরে সেলিম ভাই বললেন, যদি তোমাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তাহলে বাচ্চাকে দেখভাল করতে কীভাবে কী করবে, চিন্তাভাবনা করে দেখো। এরপর আমি বললাম, বাচ্চা আমার কাছেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদ হওয়ার পর অবশ্যই সে বাচ্চা দেখতে আসতে পারবে। তবে শর্ত, সে অস্বাভাবিক সময় বাসায় আসলে বাচ্চাকে দেখতে দেব না। যদি রাত চারটায় আসে, ভোরবেলায় আসে, তাহলে তো বাচ্চা দেখতে দেওয়ার সুযোগই নাই। স্বাভাবিক, সঠিক সময়ে এসে সে বাচ্চা দেখতেই পারে। কোনো সমস্যা নাই।’

কিন্তু এরপরও সিনেমার বা বিভিন্ন ইভেন্টের অনুষ্ঠানে ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে দেখা গেছে দুজনকে। এ ব্যাপারে পরীমনির বক্তব্য, ‘এগুলো ছিল রাজের লোকদেখানো। আমার কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সঙ্গে সে যেত। বিশ্বাস করেন, কিছুদিন আগে আমি হাসপাতালে ছিলাম, আমাকে দেখতেও যায়নি সে। আমার সঙ্গে তাঁর এখন শারীরিক, মানসিক কোনো অ্যাটাচমেন্টই নাই। আমি যখন হাসপাতালে, তখনই বাসায় রাজ তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছিল। আগেই প্রস্তুত ছিল বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে। সম্পর্ক রাখবে না। এভাবে তো আর সংসার, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।’

তাহলে কি বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছে আপনাদের সংসার?—এমন প্রশ্নে অভিনেত্রী বলেন, ‘ও তো আমাকে ছেড়েই চলে গেছে, বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে। আমি আর কল্পনাতেও ভাবতে চাই না শরীফুল রাজ আমার জামাই। একটা মানুষ চলে গেলে তো আর ধরে রাখা যায় না।’ হাসতে হাসতে পরী আরও বলেন, ‘রাজ এখন বলে কী, আমাদের বিয়ের কাবিননামা নাকি ভুল। আমাদের নাকি ঠিকঠাক বিয়েই হয়নি। যে এভাবে বলতে পারে, সে ভয়ংকর মানুষ। তার সঙ্গে থাকা যাবে না। আমি চাই সে আমাকে তালাক দিয়ে দিক। আমি ওর প্রাক্তন, এটাই শুনতে আমার আরাম লাগবে। আমি রাজের বউ, এটি আর শুনতে চাই না।’

দুঃখ করে পরী বলেন, ‘রাজ আমার বাচ্চার বাপ, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। আমরা একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আমাদের সন্তানের জন্য আফসোস হয়ে থাকবে, বাবা-মাকে নিয়ে সুখী জীবন পাচ্ছে না আমাদের সন্তান। আর এর জন্য দায়ী রাজ। আমাকে দোষ দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এই সংসার টেকানোর জন্য আমি কী পরিমাণ চেষ্টা করে গেছি, রাজও জানে সেটি।’

কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে কিংবা নিজের উপলব্ধি থেকে যদি রাজ আবার ফিরে আসেন, তাহলে? এ ব্যাপারে পরী বলেন, ‘বিয়ে-সংসার কি মুদিদোকানের মতো কারবার? ফিরে আসার আর সুযোগ নাই। যে মানুষ স্ত্রী, বাচ্চার মার চরিত্র নিয়ে কথা তুলতে পারে, তার সঙ্গে ঘর করার সুযোগ নাই আর।’

https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/1306379593422476

Advertisement
Share.

Leave A Reply