দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার নিয়ম সংশোধন করে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী এক মাসের মাথায় এই নিয়ম সংশোধন হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) কমিশনের সংশোধিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টানা পাঁচ দিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে গ্রাহকের কাছ থেকে ওই মাসে মোট বিলের ৫০ শতাংশ নেওয়া যাবে। টানা ১০ দিন ইন্টারনেট না থাকলে নেওয়া যাবে মাসিক বিলের ২৫ শতাংশ। আর যদি ১৫ দিন ইন্টারনেট না থাকে, তাহলে সে মাসে কোনো বিলই নেওয়া যাবে না।
এরইমধ্যে, সব ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) কাছে পাঠানো হয়েছে বিটিআরসির এ নির্দেশনা।
যদিও এর আগে গত ৫ অক্টোবর বিটিআরসি তাদের নির্দেশনায় বলেছিল, টানা তিন দিন ইন্টারনেট না থাকলে গ্রাহককে সে মাসের বিল দিতে হবে না।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৬ জুন চালু করা ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সেবামূল্য ঘোষণা করা হয়। এবার আগের সেবার মানদণ্ডের ঘোষণার সংশোধিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
এদিকে, বিটিআরসি গত অক্টোবরে ইন্টারনেট সেবার নিয়ম বেধে দেওয়ার পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এই সময়সীমা আরও বাড়ানোর অনুরোধ জানায়।
সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিটিআরসি তার চেয়ে কিছুটা সময় কমিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান আইএসপিএবি –এর সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক। বিটিআরসি’র নতুন নির্দেশনা ‘এক দেশ, এক রেট’ কার্যকর করতে সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।
গত জুনে বিটিআরসি ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্রথম প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, গতি হবে ৫ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড)। দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা, এর গতি ১০ এমবিপিএস। আর তৃতীয় প্যাকেজের গতি ২০ এমবিপিএস, মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা। মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে একই মূল্যে ইন্টারনেট দিতে হবে। এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে শেয়ারড বা ভাগাভাগির (১: ৮) ব্যান্ডউইডথের ক্ষেত্রে।
বিটিআরসি সংশোধিত নির্দেশনাতে আরও বলা হয়েছে, সেবাদাতারা নতুন নতুন প্যাকেজ দিতে পারবে। তবে তা হতে হবে অনুমোদিত প্যাকেজের আদলে এবং গতির সর্বনিম্ন সীমা ৫ এমবিপিএস ঠিক রাখতে হবে। নতুন প্যাকেজের জন্যও অনুমোদন নিতে হবে। এর বাইরে কোনো প্যাকেজ দিলে কমিশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া, অনুমোদিত সেবামূল্য আইএসপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
তাছাড়া, গ্রাহকের অভিযোগ (টিকেটিং নম্বরসহ) দ্রুত সমাধান করতে হবে এবং তথ্য অন্তত ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে বলেও বিটিআরসি সংশোধিত নির্দেশনাতে উল্লেখ করা হয়েছে।