দিন দিন বিশ্বে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৯৮ লাখ ছাড়িয়েছে। আর রোগটিতে মারা গেছেন, ১৭ লাখ ৪৯ হাজারেরও বেশি মানুষ।
করোনা সংক্রমণ সম্পর্কিত পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিশ্বে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৬৪ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন, ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৪৭ জন।
করোনার প্রভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা, ১ কোটি ৯১ লাখ ১১ হাজার ৩২৬ জন। আর মারা গেছেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬ জন। সেখানে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ১২৩ জন।
অন্যদিকে বরাবরের মতোই সংক্রমণ তালিকার ২য় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারত। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৬৮ জন। আর প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ১২৮ জন।
দিন দিন ব্রাজিলের অবস্থাও সংকটপূর্ণ। তৃতীয় স্থানে থাকা দেশটিতে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৭৪ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৩ জন। আর এতে মারা গেছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৩২ জন।
তালিকার চতুর্থ স্থানে রাশিয়া, পঞ্চম ফ্রান্স এবং ষষ্ঠ যুক্তরাজ্য। আর ইতালিকে পেছনে ফেলে তুরস্ক সপ্তম স্থানে চলে এসেছে। ইতালি এসেছে অষ্টম স্থানে। নবম স্থানে রয়েছে স্পেন এবং দশম স্থানে জার্মানি উঠে এসেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ২৬তম।
তবে, দিন দিন মেক্সিকোতে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দেশটি এই তালিকার ১৩ নম্বর স্থানে উঠে এসেছে। একদিনেই দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৬১ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। কিন্ত তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর চীনের বাইরে ফিলিপাইনে গত ২ ফেব্রুয়ারি করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে।
