fbpx

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে: চিকিৎসক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফারদিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শেখ ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারব।’

এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

ফারদিন নূর পরশ বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক। ফারদিন পরিবারের সঙ্গে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে ফারদিনের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার সর্বশেষ লোকেশন ছিল রামপুরা থানা এলাকায়। এ ঘটনায় গত শনিবার ওই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়।

গত শুক্রবার রাত থেকে ফারদনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানান তার বাবা নূরউদ্দিন রানা। সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-পুলিশের ফোন পেয়ে সেখানে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।

ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিনের সহকর্মী নাবিন চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সর্বশেষ এক বান্ধবীর সঙ্গে ছিল ফারদিন। ওই বান্ধবীর ভাষ্যমতে, বিকেলে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আসে ফারদিন। সেখান থেকে বান্ধবীসহ ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে। সেখান থেকে টিএসটিতে যায়। কিছু সময় কাটিয়ে রামপুরায় বিটিভির সামনে পর্যন্ত বান্ধবীকে এগিয়ে দেয়। এরপর ওই বান্ধবী আর ফারদিনের খবর পায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রামপুরা থানায় জিডি করার পর পুলিশ ফারদিনের মোবাইল ট্র্যাকিং করে কেরানীগঞ্জ ও ডেমরার লোকেশন পায়। দুই জায়গাতেই খোঁজ করে তাকে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় নৌ-পুলিশের ফোন পেলাম।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply