fbpx

বেশিরভাগ রাইড শেয়ারিং কোম্পানি চালকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পুলিশি হয়রানি বন্ধ, রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর অ্যাপের কমিশন শতকরা ১০ শতাংশ করা, বাইকারদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানসহ ছয় দফা দাবিতে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করছে অ্যাপভিত্তিক ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ (ডিআরডিইউ)।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় এক হাজার রাইডারের উপস্থিতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে মানববন্ধন পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বলা হয়, রাইড শেয়ারের চালকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাদের দাবির ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এরপরও যদি দাবি আদায় না হয়, তাহলে আবার রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন রাইড শেয়ারের চালকেরা।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের শওকত আলম সোহেল ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দেন। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ঘটনার জের ধরেই পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয় অ্যাপভিত্তিক ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ।

এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন রাইড শেয়ারের চালকেরা। সেখানে ছয় দফা দাবি জানান ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ।

১. অ্যাপস-নির্ভর শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি, কর্ম ও সময়ের মূল্য দেওয়া।

২. সব ধরনের রাইডে কমিশন ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা, মিথ্যা অজুহাতে কর্মহীন করা থেকে বিরত থাকা।

৩. ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহন দাঁড়ানোর জায়গা করে দেওয়া।

৪. সব ধরনের পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।

৫. তালিকাভুক্ত রাইড শেয়ারকারী যানবাহনগুলোকে গণপরিবহনের আওতায় অ্যাডভান্সড ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) মুক্ত রাখা।

৬. গতবছর গ্রহণ করা সব এআইটি তালিকাভুক্ত যানবাহন মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া।

সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই মানববন্ধন চলে তিন ঘণ্টা। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং সিলেটেও এই কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে বাইকাররা বলেন, রাইড শেয়ারের চালকের বাইক পুড়িয়ে ফেলা তারা সমর্থন করেন না। কিন্তু কোনো বাইকার কোন পরিস্থিতিতে এমন কাজ করতে বাধ্য হলেন, তা সরকারকে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়।

তারা আরও বলেন, তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। উবারসহ বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা বেশির ভাগ টাকা কেটে নিচ্ছে। ফলে বাইকারদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তাই তারা বাধ্য হয়ে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

কর্মবিরতি শেষ হলে সবাইকে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply