fbpx

ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি সম্মেলন’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ব্রিটিশ কাউন্সিলের অংশীদারিত্বে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ষষ্ঠ এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি সম্মেলন (এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল কালচার সামিট)। ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত।

‘ফেস্টিভাল সিটি’ হিসেবে এডিনবার্গের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ব-সংস্কৃতি বিনিময়ের সবচেয়ে বড় এ মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি সম্মেলন’

সাংস্কৃতিক নীতি ও বিনিয়োগের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবকে উৎসাহিত করতে অনন্য বৈশ্বিক সুযোগ হিসেবে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্যে আমাদের বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- সংস্কৃতি ও টেকসই ভবিষ্যতকেই তুলে ধরা হচ্ছে।

ষষ্ঠ এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি সম্মেলনের অংশীদার হিসেবে রয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভাল, স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট এবং স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সরকার। সম্মেলনে বিশ্ববরেণ্য শিল্পী, ইনফ্লুয়েনসার এবং বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করছেন।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি সম্মেলন’

সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংস্কৃতি বিনিময় শাখার উপসচিব কাজী নুরুল ইসলাম এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব আর্টস নাহিন ইদ্রিস।

সংস্কৃতি বিনিময়ের বৈশ্বিক এই অনুষ্ঠানে সারা বিশ্ব থেকে আসা সংস্কৃতি মন্ত্রী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, অ্যাকাডেমিক এবং এ খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সামনে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অবস্থান এবং সংস্কৃতি চর্চার উদাহরণ তুলে ধরবেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।

স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে, বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া সাংস্কৃতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং রাজনৈতিক নানা দ্বন্দ্ব নিরসনে সংস্কৃতি ও স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও শিক্ষা এবং সংস্কৃতি ও টেকসই স্থায়ীত্ব; এসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে। পার্লামেন্টের ডিবেটিং চেম্বারের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বেসরকারি নীতিমালা আলোচনা এবং কর্মশালার মাধ্যমে প্রত্যেকটি প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হবে। এডিনবার্গে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতি সম্মেলনের পরে এবারই প্রথম স্বশরীরে এতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীরা।

সম্মেলনের সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক আলোচনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেহালাবাদক ও এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভালের ডিরেক্টর ডেজিগনেট নিকোলা বেনেদেত্তি এবং মাইক্রোসফট এডুকেশনের এডুকেশন এক্সপেরিয়েন্সের ভাইস-প্রেসিডেন্ট দিয়েরদ্রে কোয়ার্নস্ট্রম।

সম্মেলনে বিস্তৃত পরিসরে শৈল্পিক কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন মন্ত্রীসহ অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা। দ্য নাইল প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা মিনা গিরগিস এবং দ্য প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরামের সাবেক মহাসচিব (২০২১ পর্যন্ত) ডেইম মেগ টেইলর সহ বিশ্বের অনেকেই এতে অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনে মেধাবী তরুণ শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা বিভিন্ন জাতি ও প্রজন্মের সাংস্কৃতিক বিনিময় উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে তাদের পরিকল্পনা ও মতামত ব্যক্ত করবেন।

এ বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, “দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে টেকসই পারিপার্শ্বিকতা অর্জনে আমরা ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ইউনেস্কোর মতো উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে একযোগে কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি সাংস্কৃতিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ টেকসই বাংলাদেশ নির্মাণে এই সহযোগিতা আমাদের সহায়তা করবে। এছাড়াও, টেকসই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের যাত্রাকে ত্বরাণ্বিত করতে ‘হোল অব সোসাইটি অ্যাপ্রোচ’ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি সুখী, সমৃদ্ধ, অগ্রসর ও সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের এই চেষ্টায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল কালচার সামিট ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর স্যার জোনাথন মিলস বলেন, “ফেস্টিভাল সিটি হিসেবে ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনের এ সময়ে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে সংস্কৃতির এ সম্মেলনে স্বশরীরে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও ব্রিটিশ কাউন্সিল, এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভাল, স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট এবং স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সরকার অর্থাৎ এই সম্মেলনের অংশীদাররা জীবন ও সমাজে পরিবর্তন আনতে সংস্কৃতিকে জোরালোভাবে সমর্থন করার জন্য একসাথে হয়েছেন।”

Advertisement
Share.

Leave A Reply