পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বরিশাল-ভোলা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। বিএনপির দাবি, বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই নৌযানগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বরিশাল নদী বন্দর ও ডিসি ঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। ঠিক তেমনি ভোলা থেকেও কোনো লঞ্চ বরিশালে আসেনি।
বরিশালের লঞ্চ মালিক সমিতি লঞ্চ বন্ধের কোনো কারণ না জানাতে পারলেও বিএনপি নেতাদের দাবি, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই নৌপথ বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশাল-ভোলা রুটে যাতায়াতাকারী নিয়মিতে যাত্রীরা।
লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়ে মালিক সমিতি কিছু না জানালেও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, ভোলায় আওলাদ নামক একটি লঞ্চে বুধবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে সকাল থেকে শুধু ভোলা রুটে লঞ্চ চলছে না। তবে মেহেন্দিগঞ্জ ও মজু চৌধুরীরহাট রুটের লঞ্চগুলো এখনও চলাচল করছে।
বরিশাল স্পিডবোট ঘাটের লাইন ইনচার্জ মো. লিটন ও তারেক শাহ বলেন, বরিশাল থেকে বোট চলাচলে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। ভোলা থেকে বোট বন্ধ করা হয়েছে। এ কারণে এ রুটে বোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল নগরের ডিসি ঘাটের মতো, সদর উপজেলার লাহারহাট লঞ্চঘাট থেকেও ভোলাগামী স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে সদর উপজেলার তালতলী থেকে মেহেন্দিগঞ্জ রুটের স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলসিক জাহান শিরিন বলেন, ‘কোনো কিছুতেই বরিশালের গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। প্রয়োজনে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ হেটে, সাইকেলে, ট্রলার ও নৌকায় চেপে আসবে।’
এর আগে আগামী শুক্র ও শনিবার অর্থাৎ ৪ ও ৫ নভেম্বর ধর্মঘট ডেকেছে জেলার পরিবহন মালিক সমিতি। বরিশালে বাস মালিকদের দুটি সংগঠনের পাশাপাশি তিন চাকার গাড়ির মালিক ও শ্রমিক সমিতিও দিয়েছে ধর্মঘটের ডাক।