fbpx

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় যুক্ত হলো জাতিসংঘ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কক্সবাজারের মতো ভাসানচরেও বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) মানবিক সহায়তা দেবে জাতিসংঘ। এ লক্ষ্যে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আজ স্বাক্ষর হলো জাতিসংঘ-বাংলাদেশ সমঝোতা স্বারক। আর এর ফলে, এখন থেকে ভাসানচরে আনুষ্ঠানিকভাবে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’।

আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন ও বাংলাদেশে ‘ইউএনএইচসিআর’ -এর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও চুক্তিতে সই করেন।

ইউএনএইচসিআর -এর প্রতিনিধি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ সমঝোতা চুক্তি বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। ভাসানচরে কিভাবে কাজ করা হবে, তার রূপরেখা থাকছে এ সমঝোতায়। কক্সবাজারের মতো ভাসানচরেও জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য হবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত করে তোলা বলেও জানান ইউএনএইচসিআর -এর এই প্রতিনিধি।

আজকের এ অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, বেসামরিক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ভাসানচরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআর -এর যৌথ উদ্যোগে ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক’দের (এফডিএমএন) খাদ্য ও পুষ্টি, সুপেয় পানি, পয়ঃনিস্কাশন, চিকিৎসা, মিয়ানমার কারিকুলাম ও ভাষায় এফডিএমএনদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং জীবিকায়নের ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র, জননিরাপত্তা বিভাগ, এনএসআই ও জাতিসংঘের বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়কারী (অন্তবর্তীকালীন) তোমু পটিয়ানেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রিগ্যান এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply