fbpx

ভিক্টোরিয়া পুডিং! নিলামে উঠল টাইটানিকের মেনু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এলাহি আয়োজন। অয়েস্টার, স্যামন, বিফ, স্কোয়াব, ডাক, চিকেন, পার্সনিপ পিউরি… শেষে আবার ভিক্টোরিয়া পুডিং! রাজকীয় খানাপিনা। হবে না-ই বা কেন। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ আর সেই জাহাজের ফার্স্ট ক্লাসের ধনকুবের যাত্রীদের নৈশভোজের মেনু বলে কথা।

কালের নিয়মে সাদা মেনুকার্ডে লালচে রঙ ধরেছে। তবে খাবারের নামগুলো এখনও পড়া যাচ্ছে। কার্ডের ডান দিকে লেখা, এপ্রিল ১১, ১৯১২! আর উপরে একটি লাল পতাকা, তার মাঝে সাদা তারা। এটি টাইটানিকের পতাকা।

মেনু কার্ডটি আরএমএস টাইটানিকের। পৃথিবীতে এমন প্রকাণ্ড জাহাজ আগে তৈরি হয়নি। বিশেষজ্ঞেরা বলেছিলেন, এ জাহাজ কোনও দিন ডুববে না। যদিও ব্রিটেনের সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্কগামী জাহাজটি প্রথম সফরেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরে একটি প্রকাণ্ড হিমশৈলে ধাক্কা লাগে টাইটানিকের।

ফাটল ধরে জাহাজে। সেই রাতেই ডুবে যায় টাইটানিক। প্রাণ হারিয়েছিলেন কমপক্ষে ১৫০০ জন। যাঁরা লাইফবোটে জায়গা করতে পেরেছিলেন, তাঁরা বেঁচেছিলেন। এমনই কোনও যাত্রী টাইটানিক ছাড়ার আগে হয়তো একটি মেনু কার্ড স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছিলেন। অন্য কোনও কাহিনি থাকলে ১১১ বছর পরে আজ তা রহস্য। জাহাজডুবির তিন দিন আগের সেই মেনু কার্ড এ বার লন্ডনে নিলামে উঠেছে। দাম উঠেছে ৮৩ হাজার পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় ৮৪.৫ লক্ষ টাকা।

টাইটানিকের বিভিন্ন জিনিস বহু মানুষ ব্যক্তিগত সংগ্রহ হিসেবে কিনে রেখেছে।কিছু জিনিস টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া গিয়েছিল। কিছু ছিল ওই জাহাজ থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রীদের কাছে। নিলামে ওঠা মেনু কার্ডটিও তেমন। তবে সেটি কার কাছে ছিল, কে জাহাজ থেকে নিয়ে এসেছিলেন, তা জানা যায়নি। সকলেই জানতে চান, লাইফবোটে ওঠার আগে কে ওই মেনু কার্ডটি তুলে এনেছিলেন!

আরও একটি জিনিস নিয়ে জনমনে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সেটি হচ্ছে, ‘ভিক্টোরিয়া পুডিং’। খাওয়া শেষে পাতে রাজকীয় মিষ্টিমুখের রেসিপিটি ঠিক কী সেটি জানা গিয়েছে। ময়দা, ডিম, জ্যাম, ব্র্যান্ডি, আপেল, চেরি, চিনি ও নানা মশলা সহযোগে তৈরি করা হোতো  ওই পুডিং। এ ছাড়াও সে দিন নৈশভোজের শেষ পাতে ছিল ফরাসি আইসক্রিম ও অ্যাপ্রিকট।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply