fbpx

‘ভিন্ন নামে এলেও জামায়াতের নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। তাই ওই দলের ব্যক্তিরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

২৯ আগস্ট (সোমবার) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াতে ইসলামের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে ইসি আলমগীর আরও জানান, যেহেতু আদালত বলেছেন, তাহলে নিবন্ধন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

জামায়াত যদি নতুন করে আবেদন করে একই মানুষ, কিন্তু ভিন্ন দল, এমন প্রশ্নে তিনি জানান, একই মানুষ আসবে কি-না, তাতো আর বলতে পারবো না। যারা আবেদন করছেন, যদি দেখি যে ক্রাইটেরিয়া মেলে না, তাহলে তো দিতে পারবো না।

এসময় তিনি আরো বলেন, অন্য নামে হলেও জিনিস তো একই। দলের গঠনতন্ত্র যদি দেশের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হয় তাহলে তো কোনো সুযোগ নেই। আদালতের আদেশ পরিবর্তন হলে তো সেটা অন্য বিষয়।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও আইনগতভাবে অকার্যকর ঘোষণা করেন

জামায়াতে ইসলামী সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। তবে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কে স্থগিত না করে আপিল আবেদন গ্রহণ করায় হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতেই ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।

পরবর্তীতে আপিল বিভাগ ২০২০ সালের ৫ আগস্ট জামায়াতের সেই আপিল খারিজ করে দেন।

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটি নিবন্ধন নম্বর পেয়েছিল ১৪।

Advertisement
Share.

Leave A Reply