fbpx

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫০০০ ছাড়িয়েছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

তুরস্কে শক্তিশালী ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সবশেষ খবর অনুযায়ী, এই ভূ-কম্পনে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫০০০ ছাড়িয়েছে। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। আর নিখোঁজের তালিকাও বেশ দীর্ঘ। ধারণা করা হচ্ছে, বেশির ভাগই ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন।

দেশ দুটি এরইমধ্যে ৫ হাজারের বেশি নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকটে জানিয়েছেন, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) কর্মকর্তা ওরহান তাতার জানান, এরই মধ্যে তুরস্কে আহতের সংখ্যা ২০ হাজার ৫৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সময় যত যাচ্ছে, এর সংখ্যা তত বাড়ছে।

এএফডি জানায়, তুরস্কে এখন ২৪ হাজার ৪০০ উদ্ধারকর্মী উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন। তবে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকায় আবহাওয়ায় উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমাচ্ছিলেন।

ইউএসজিএস আরও জানায়, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাসহ দেশটির অন্যান্য শহরে এবং পার্শ্ববর্তী সিরিয়াসহ প্রতিবেশী দেশ লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরায়েলেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। এরপর কয়েকবার পর পর আঘাত হানে। এগুলোর মধ্যে একটি ছিল ৬ দশমিক ৪ ও একটি ৬ দশমিক ৫ মাত্রার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে এ সংখ্যা আটগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

ডব্লিউএইচও কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ভূমিকম্পের কারণে বহু মানুষ তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে। তাদের থাকার কোন জায়গা নেই। তুষারপাত কারণে তীব্র ঠান্ডায় তাদের জন্য বিপদ আরো বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তুরস্ক এবং সিরিয়ায় হাজার হজার ভবন ধসে পড়েছে। বারো তলা বিল্ডিংও মাটির সাথে মিশে গেছে, রাস্তা ধসে গেছে। চোখ যতদূর যায় ততদূর পর্যন্ত শুধু ধ্বংসস্তুপের পাহাড় দেখা যাচ্ছে।

বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা অ্যানা ফস্টার তুরস্কের ওসমানিয়া শহর থেকে ধ্বংসস্তুপের বর্ণনা দিয়েছেন। এই শহরটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছেই।

” বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যহত হচ্ছে। রাতে শহরটিতে কোন বিদ্যুৎ ছিল না।”

Advertisement
Share.

Leave A Reply